এক ফ্রেমে সোহিনী-কৌশিক।
দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর পাকাপাকি ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেল মৃন্ময় আর অনিন্দিতার। এক পাহাড়ের কোলে বছর পাঁচেক আগে শুরু হয়েছিল তাদের যৌথ জীবন। তাই ওদের ইচ্ছেতেই বিচ্ছেদও সেই জায়গায়। সেই কারণে মেঘের কাছে পাহাড়-বাড়িতে ফেরা। এই ফেরায় কি সম্পর্কের সব শেষ? আনন্দবাজার অনলাইনকে বিচ্ছেদ নিয়ে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত বললেন, “বিচ্ছেদ মানেই শেষ নয়। সম্পর্ক থেমে গেলেও বন্ধুত্ব ফুরোয় না। আমার সঙ্গে যেমন সপ্তর্ষির বন্ধুত্ব আজীবনের। এই গল্প সেই ধারাকেই তুলে ধরবে।”
নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে যারপরনাই উৎসাহিত কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এখানেও জানালেন এই শ্যুটে এক বারের জন্য মনিটর দেখেননি তিনি। কৌশিক বললেন, “চারদিকে এখন বড্ড কথা। এই ছবি সেই কথার বাইরে গিয়ে অনেকখানি পাহাড়ের নৈশব্দকে ধরতে চেয়েছে। সুজিতের মতো পরিচালক এই ছবিতে স্বপ্নকে ছুঁতে চেয়েছে। আমি ওকে স্বপ্নের কাছে এগিয়ে দিতে চাইছি।”
মূর্তি নদীর ধার, ঝালং বা বিন্দুর পাড়াহের কিনারা। সেখান থেকে ভেসে আসছে হর্নবিল, ঝিঁঝিঁর ডাক। ছবিতে মানুষের সংলাপের চেয়ে বড় অনেক বেশি জায়গা করে নিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন কৌশিক। একজন পরিচালক হিসেবে তিনি জানাতে ভোলেননি এই নতুন পরিচালককে কত কম খরচে ছবির কাজ করতে হয়েছে। সোহিনীর সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে কৌশিক বলে উঠলেন, “সোহিনী আমাকে খুব রাগী, নাক উঁচু মানুষ ভাবত। এই ছবি করতে এসে ওর ভুল ভেঙেছে।”
রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের নাটকের আধারে এই ছবির গল্প তৈরি হয়েছে। সোহিনী এই চরিত্রে এর আগে অভিনয় করলেও কৌশিকের এটা প্রথম কাজ। কৌশিক বললেন, ”নাটকে দেবশঙ্কর (হালদার) ওর মতো অভিনয় করেছিল। আমি ছবিতে তার অন্য রূপ দেব।”
সম্পর্ক, প্রেম এবং বিচ্ছেদ নিয়ে পরিচালক সুজিত পাইনের প্রথম ছবি ‘মেঘ বাড়ি’-তে অভিনয় করা প্রসঙ্গে সোহিনী বিচ্ছেদ নিয়ে তাঁর ধারণা জানালেন।পরিচালক,অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করলেন তিনি।
তবে জুটি বাঁধা নয়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এ বার কাজের সূত্রে বন্ধু হয়ে গেলেন সোহিনীর। “সব সময় কথা বলার মতো মানুষ পাওয়া যায় না। ওর জীবনবোধে আমি মুগ্ধ”।
এমন দু’জন শক্তিশালী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করে আপ্লুত পরিচালক সুজিত। পাহাড়ের বাঁকের মতো ঘুরে ফিরে দুই শক্তিশালী অভিনেতার অভিনয় এ ছবিকে সমৃদ্ধ করেছে। বিচ্ছেদের দিনে সেই পুরোনো রিসর্ট, পুরোনো পাহাড়ি রাস্তায় বারবার নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করেছে ছবির নায়ক-নায়িকা। তাদের স্বপ্নের সেই মেঘ বাড়ি যেখানে অনেক ইচ্ছে থাকলেও কোনও দিনই একসঙ্গে থাকা হল না তাদের। সেই মেঘবাড়ি এখন কেমন আছে? সেই যাত্রার গল্পই বলবে ছবি। এ ছবির প্রযোজকও নতুন,অরুণাভ মন্ডল। উত্তরবঙ্গে টানা শ্যুটিং-এর পরে কলকাতায় ছবির সামান্য অংশ শ্যুট হবে।