আয়শা জুলকা ছিলেন নয়ের দশকে বলিউডে প্রথম সারির নায়িকা। ১৯৮৯ সালে আয়শার প্রথম ছবি ‘ক্যায়সে ক্যায়সে লোগ’ মুক্তি পেয়েছিল।
প্রথম থেকেই আয়শার নিষ্পাপ চেহারা মনে ধরেছিল দর্শকদের। ১৯৯০ সালে ‘মিত মেরে মন কে’ ফিল্মে প্রথম নায়িকার ভূমিকায় আত্মপ্রকাশ তাঁর।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর উইং কম্যান্ডার ইন্দ্রকুমার জুলকার মেয়ে আয়শার জন্ম শ্রীনগরে, ১৯৭২ সালে। বলিউডে আত্মপ্রকাশের পর খুব কম সময়ের মধ্যেই মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু খুব বেশি দিন বলিউড কেরিয়ার দীর্ঘ করেননি। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীনই আয়শা বিয়ে করে নেন সমীর ভাসিকে। বিয়ের পরে স্পা, রিসর্ট, বুটিক-সহ একাধিক ব্যবসার কাজে স্বামীর ব্যস্ততার শরিক তিনিও।
তাঁদের বিয়ে হয় ২০০৩ সালে। ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনও তিক্ততা নেই। অথচ তাঁদের দাম্পত্যে একটি প্রশ্ন বারবারই ঘুরে ফিরে আসে তাঁদের সামনে।
বিয়ের ১৮ বছর পরও নিঃসন্তান তাঁরা। কেন?
করিনা কপূর তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের পথ দেখছেন। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও অনুষ্কা শর্মাও মা হলেন সম্প্রতি। অথচ নয়ের দশকের নায়িকা আয়শার বলি কেরিয়ার শেষ হয়ে গেলেও তিনি এখনও এই পথে হাঁটেননি।
কেন তাঁদের কোনও সন্তান নেই? আয়শাকে এ নিয়ে বারবারই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এক বার এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এর কারণ খোলসা করেছিলেন তিনি।
আয়শা প্রচুর সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এর উপর স্বামীর সঙ্গে ব্যবসাও সামলান তিনি। অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
আয়শা মনে করেন, এই ব্যস্ততার মধ্যে তিনি সন্তানকে ঠিকমতো সময় দিতে পারবেন না। আবার নিজের কাজ নিয়ে, নিজের কেরিয়ার নিয়ে এতটাই খুশি যে তারও কোনওরকম হেরফের হোক চান না তিনি।
এ সব স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তাতে দু’জনেই একমত হয়ে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই সিদ্ধান্তে পরিবারও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছে বলে জানান আয়শা।
আয়শার প্রচুর ফিল্ম সফল হয়েছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল, ‘কোহরা’, ‘মেহেরবান’, ‘দালাল’, ‘রং’, ‘ওয়ক্ত হমারা হ্যায়’, ‘দিল কি বাজি’, ‘মাসুম’, ‘চাচি ৪২০’, ‘হোতে হোতে প্যায়ার হো গ্যয়া’ এবং ‘উমরাও জান’।
তিনি হিন্দির পাশাপাশি ওড়িয়া, কন্নড় এবং তেলুগু ফিল্মেও অভিনয় করেছেন।