প্রেম হোক বা মারপিট কিংবা সাধারণ কোনও ডায়ালগ— একটি দৃশ্যকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
তবে তাঁরা নিজেদের চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম করে নিতে পারেন এবং নিজেদের সর্বোচ্চ অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে পারেন।
কিন্তু এর ফলে অনেক সময়ই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যে অভিজ্ঞতা একবার হয়েছিল বিনোদ খন্না এবং ডিম্পল কাপাডিয়ার।
অভিনয় জগতে তখন চূড়ান্ত সফল বিনোদ। সে সময় একপ্রকার হঠাৎ করেই সব কিছু ছেড়ে রজনীশের আশ্রমে থাকতে শুরু করেন বিনোদ।
বলিউড থেকে অনেক দূরে সেখানেই জীবনের কয়েক বছর কাটান তিনি। তার পর ফের ফিরে আসেন চেনা গণ্ডিতে।
কামব্যাকের জন্য ভাল ছবির প্রস্তাবও পেয়ে যান বিনোদ। মহেশ ভট্ট তখন একটি ছবি করছিলেন। সে ছবিতেই বিনোদকে সুযোগ দেন তিনি।
ছবির নাম ছিল ‘প্রেম ধর্ম’। মহেশের সঙ্গে আরও একটি ছবির চুক্তি হয়েছিল তাঁর। বিনোদ কয়েক বছর অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও তিনি তখনও সুপারস্টার।
তাই নির্দ্বিধায় বিনোদকে ছবিতে সুযোগ দিয়ে দেন মহেশ। ‘প্রেম ধর্ম’ ছবিতে বিনোদ ছাড়াও হেমা মালিনী এবং ডিম্পল কপাডিয়া ছিলেন।
বিয়ের পর হেমা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু চিত্রনাট্য অনুযায়ী ছবিতে একটি গভীর চুম্বনের দৃশ্য ছিল।
তাই এই দৃশ্যে বিনোদের সঙ্গে ডিম্পলকে অভিনয় করার জন্য রাজি করান পরিচালক মহেশ।
ঠিক কী ভাবে, কত ক্ষণ চুম্বন করতে হবে সবটাই শ্যুটিং শুরুর আগে তাঁদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শ্যুটিংয়ের সময় চুম্বনের দৃশ্য ভাল লাগেনি মহেশের।
সেটা অভিনয়ই মনে হচ্ছিল। বিনোদের প্যাশন নাকি ছিল না সেই অভিনয়ে। মহেশ ফের বিনোদকে ভাল করে বুঝিয়ে দেন দৃশ্যটি।
তাতেই ঘটে বিপত্তি। বিনোদ দ্বিতীয় টেক-এ এতটাই চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেব যে শ্যুটিং শেষে কাট বলার পরও ডিম্পলকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চুম্বন করে যাচ্ছিলেন তিনি।
বাধ্য হয়ে মহেশ ছুটে এসে বিনোদকে থামান। বিনোদের এই ব্যবহারে ডিম্পল তখন অত্যন্ত বিরক্ত। সেটের বাকি সদস্যেরাও হতবাক হয়েছিলেন।
ব্যাপারটি বুঝে বিনোদও লজ্জিত হযে পড়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, মহেশের কথা তাঁর কানে ঢোকেনি। তিনি বুঝতেই পারেননি যে শ্যুটিং শেষ হয়ে গিয়েছিল।
পরে ডিম্পলের কাছে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তার পরই ডিম্পল ছবির বাকি শ্যুটিং করতে রাজি হন।