শর্মিলা জানান, এক নায়িকার সঙ্গে বার বার কাজ করতে চাইতেন না রাজেশও। ছবি—সংগৃহীত
“পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স” সংলাপে এখনও বহু দর্শক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন। সত্তর থেকে আশির দশকে শর্মিলা ঠাকুর এবং রাজেশ খন্না ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় জুটি। ১৯৬৯ সালে ‘আরাধনা’ ছবিতে তাঁরা প্রথম একসঙ্গে অভিনয় করেন। বিপুল জনপ্রিয়তা পায় ছবিটি। ‘অমর প্রেম’, ‘সফর’-এর মতো সফল ছবিতে তাঁদের রসায়ন মানুষকে মুগ্ধ করলেও এক সময় রাজেশের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেন শর্মিলা। কিন্তু কেন?
রাজেশকে নিয়ে তৈরি হওয়া অডিয়োবুক ‘রাজেশ খন্না: এক তনহা সিতারা’-তে শর্মিলা জানিয়েছিলেন, এর প্রধান কারণ হল, শুটিংয়ে দেরি করে আসা। অভিনেত্রী নিজে সকাল ৮টায় আসতেন, রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি ফিরতে চাইতেন।
শর্মিলা বলেন, ‘‘কিন্তু ‘কাকা’( রাজেশ)-র সঙ্গে শুটিংয়ে এটা অসম্ভব ছিল। ৯টায় শিফট থাকলে উনি ১২টার আগে আসতেনই না। আমরা সময়ে কাজ শেষ করতে পারতাম না। ইউনিট চাপে পড়ে যেত। আমায় বাড়তি সময় কাজ করার জন্য জোর করত। এটা যেন একটা নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। আমার মনেও এ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলত।’’
শেষ অবধি রাজেশের সঙ্গে আর কাজ করতে চাইতেন না শর্মিলা। অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।
শর্মিলা বলেন, ‘‘এক নায়িকার সঙ্গে বার বার কাজ করতে চাইতেন না রাজেশও। স্থবির হয়ে যাওয়ার ফল ভাল হয় না। যাই হোক, অল্প কিছু ছবিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। মানতে বাধা নেই, এটা আমায় অনেক স্বস্তি দিয়েছিল।’’
রাজেশের কেরিয়ার পরবর্তী কালে আর তেমন উজ্জ্বল থাকেনি। তাঁর ছবি চলছিল না। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ১৮ জুলাই মারা যান।
শর্মিলা অবশ্য এখনও কাজ করছেন। ‘গুলমোহর’ দিয়ে ১৩ বছর পর অভিনয়ে ফিরেছেন তিনি। ওটিটি মাধ্যমে এটিই তাঁর প্রথম কাজ।