নাগা চৈতন্য এবং সামান্থা প্রভু।
২০১০ সালে তেলেগু ছবি ‘ইয়ে মায়া চেসাবে’তে কাজ করতে গিয়ে সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য একে অপরের প্রেমে পড়েন। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর হিন্দু রীতিতে এবং পরদিন খ্রিষ্টান রীতিতে বিয়ে হয় তাঁদের। সেই বিয়ে ইতিহাস।
সেই সামান্থাই ২০২১ সালের ২ অক্টোবর লিখেছেন, ‘আমাদের সব শুভাকাঙ্ক্ষীর উদ্দেশে বলছি, অনেক আলোচনা ও চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজন দুজনের পথ খুঁজে নিয়েছি। আমরা ভাগ্যবান যে এক দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব ছিল, যা আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি, আমরা বিশ্বাস করি, সব সময় আমাদের মধ্যে সেই বন্ধন থাকবে। আমাদের ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ, এ রকম একটা কঠিন সময়ে আমাদের পাশে থাকুন এবং আমাদের নিজের মতো থাকার সুযোগ দিন। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।"। নাগা আর সামান্থার বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে সামান্থার শ্বশুরবাড়ির নিষেধ সত্বেও সাহসী দৃশ্যে অভিনয়কে কারণ হিসেবে দেখানো হয়। যদিও সামান্থা সরাসরি এই নিয়ে কথা বলেননি। কিন্তু ২০১৯ এ তামিল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা বলেন, "চৈ ( নাগা চৈতন্য) একদম স্বামীর মতো। একজন আদর্শ স্বামীর যা যা গুণ থাকে চৈ-এর মধ্যে তাই আছে। যখন ওর সঙ্গে আলাপ হয় আমি তখন শূন্য ছিলাম। আমাকে জীবনে সবচেয়ে বেশি ভুল করতে দেখেছে চৈ।"
সামান্থা জানান চৈ-এর মতোই সঙ্গীকেই যে তিনি বিয়ে করবেন এটাই স্বাভাবিক। একটি বিশেষ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন সামান্থা। তিনি জানান,একবার আমেরিকায় গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর হাতে একটা টাকাও ছিল না। এমনই অবস্থা মাকে ফোন অবধি করতে পারছেন না! এই সময় নাগার ফোন থেকেই তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তাঁর দাবি ছিল মানুষ হিসেবে তাঁর চৈ তাঁকে সবচেয়ে ভাল চেনেন।
যদিও এই 'ভাল' চেনা বিশেষ কাজে আসেনি। তাঁদের বিচ্ছেদ অনিবার্য হয়ে ওঠে।