‘ভীরে দি ওয়েডিং’ ছবিতে স্বরার স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় দেখে রে রে করে উঠেছিলেন নিন্দকরা। —ফাইল চিত্র
বিয়েতে দুই সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টাই হোক, বা কোনও বিষয়ে অকপট মন্তব্য— নিন্দকদের সমালোচনায় বার বার বিদ্ধ হতে হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করকে। পর্দায় উদ্দাম স্বমেহনের দৃশ্যে তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয় স্তম্ভিত করেছিল অনেককেই। সে নিয়ে ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারে অশালীন পোস্টারও পড়েছিল। বিরোধীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “এই নির্বাচনে স্বরা ভাস্করের মতো হবেন না। ঠিক করে আপনার আঙুল ব্যবহার করুন। ভাল ভাবে ভোট দিন।”যদিও নিন্দার আবহে স্বরার উচ্চকিত প্রশংসা করেছিলেন রাখি সবন্ত।
সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেছিলেন, “দেখুন, স্বরা দেশবাসীকে উৎসাহিত করছেন। আপনারা সবাই মিলে জাতীয় হস্তমৈথুন দিবস সার্থক করুন।” রাখি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এ বিষয়ে কোনও সংস্কারের বশবর্তী নন তিনিও। উইকিপিডিয়ার পেজের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছিলেন রাখি, এমন একটি দিনের অস্তিত্ব যে সত্যিই আছে তা বোঝাতে। জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক তারিখ হিসাবে, দিনটি হল ২৮ মে। পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে দেন রাখি।
‘ভীরে দি ওয়েডিং’ ছবিতে স্বরা অভিনয় করেছিলেন এক আধুনিকা, নারীবাদীর চরিত্রে। পর্দায় তাঁর চরিত্রটিকে হস্তমৈথুন করতে দেখা গিয়েছিল। চিত্রনাট্যের দাবি মিটিয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় করেছিলেন স্বরা। ছুতমার্গ, তথাকথিত সংস্কারের তোয়াক্কা করেননি। সেই দৃশ্যই জাতীয় হস্তমৈথুনে উৎসাহ দিতে পারে বলে দাবি করেছিলেন রাখি।
‘ভীরে দি ওয়েডিং’ ছবিতে স্বরার স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় দেখে রে রে করে উঠেছিলেন নিন্দকরা। তাঁকে ‘নির্লজ্জ’, ‘গণিকা’ বলে অপমান করতেও ছাড়েননি তাঁরা। এই ছবি স্বরা তাঁর ঠাকুরমার সঙ্গে বসে দেখতে পারবেন কি না, নিন্দকরা এমন প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছিলেন। সে সময়ে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’- এর প্রতি স্বরার আনুগত্য তাঁকে অনেকের কাছেই নিন্দা, বিদ্রুপের সহজ লক্ষ্য করে তুলেছিল। কানহাইয়া কুমারের পক্ষে প্রচার করেছিলেন স্বরা, অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। সে সবের পরে স্বরার শত্রু বৃদ্ধি পেয়েছিল।
রাজনীতির জগতে তো বটেই, ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল। তবে সব কিছুর অবসান প্রেমে। সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা তথা বন্ধু ফাহাদ আহমেদকে বিয়ে করে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন স্বরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে।