কমলের ছবি দেখে প্রসন্ন হয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের পর স্মৃতিমেদুর ভারতের দক্ষিণী ছবির জগৎ। ১৯৯৭ সাল। ভারতের স্বাধীনতা-যুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি ছবি ‘মারুধনয়াগাম’ মুক্তি পেয়েছিল ধুমধাম করে। কমল হাসন প্রযোজিত সেই বড় বাজেটের ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। চেন্নাইয়ের অনুষ্ঠানে সেই সুখস্মৃতি ধরা ছিল ক্যামেরায়। ব্রিটেনের রানির মৃত্যুর পর ভাইরাল সেই অতীত।
ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের বড় তারকা কমলেরও চোখ ছলছল। সে যুগে ৮৫ কোটি টাকা বাজেটের ছবি যত না শোরগোল ফেলেছিল, তার চেয়ে স্মরণীয় হয়ে ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এলিজাবেথের উজ্জ্বল উপস্থিতি এ ছবির সঙ্গেও ওতপ্রোত জড়িয়ে ছিল বলে মনে করেন কমল।
১৯৯৭ সালের ১৬ অক্টোবর, চেন্নাইয়ের এমজিআর ফিল্ম সিটিতে মুক্তি পেয়েছিল ‘মারুধনয়াগাম’। সেট পরিদর্শন করে প্রসন্ন হয়েছিলেন রানি । তাঁর স্বভাবসিদ্ধ উজ্জ্বল হাসিতে আরও বেশি মুগ্ধ ছিলেন উপস্থিত সকলে। রানির পাশে রাজপুত রাজার বেশে ধরা দিয়েছিলেন নির্মাতা কমলও। সে বার, ছবির ছোট একটি যুদ্ধের দৃশ্য দেখেছিলেন এলিজাবেথ। যে দৃশ্যটুকু নির্মাণেই খরচ পড়েছিল দেড় কোটি টাকা।
কমলের সঙ্গে রানিকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তাঁর তৎকালীন স্ত্রী, অভিনেত্রী সারিকা এবং তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি। যদিও এত কিছুর পরও ছবিটি বক্স অফিসে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাতে পরোয়া কী? ছবির ইতিহাসে জুড়ে গিয়েছে ব্রিটেনের রাজপরিবারের ছোঁয়া।
পরিচালনা ও প্রযোজনার পাশাপাশি ‘মারুধনয়াগম’-এ অভিনয়ও করেছিলেন কমল। ১৮ শতকের যোদ্ধা মহম্মদ ইউসুফ খানের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। এমনকি, হলিউড অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটকেও ছবিতে মার্শার প্রধান মহিলা চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যার ফলে কমল এক জন উপযুক্ত তারকার সন্ধানে ইউরোপে যেতে বাধ্য হন।