সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়েছেন জয়া, অনেক সময় তীব্র মতামত জানিয়েছেন। —ফাইল চিত্র
ছ’দশকের অভিনয় জীবন তাঁর। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘মহানগর’ (১৯৬৩) দিয়ে যাত্রা শুরু। সংবাদমাধ্যম, আলোকচিত্রীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবর থেকেছে নরমে-গরমে। অনেক সময় তাঁদের কথায় বা ছবি তোলার অনুরোধে মাথা গরম করে ফেলেছেন তিনি। ৯ এপ্রিল, ৭৫ বছরে পড়লেন বর্ষীয়সী অভিনেত্রী জয়া বচ্চন।
অমিতাভ বচ্চনের অনেক আগেই ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘গুড্ডি’ ( ১৯৭১) বলিউডে জয়াকে প্রতিষ্ঠা দেয়। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন পাঁচ দশকের। দীর্ঘ দিন জয়া সমাজবাদী পার্টির তরফে রাজ্যসভার সদস্য। এক সাক্ষাৎকারে জয়া জানিয়েছেন, তিনি প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ব্যাপারে স্বতঃস্ফূর্ত। অন্যের কথায় কী প্রতিক্রিয়া দেবেন, আগে থেকে কিছু পরিকল্পনা করা থাকে না তাঁর।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়েছেন জয়া, অনেক সময় তীব্র মতামত জানিয়েছেন। ‘কফি উইথ কর্ণ’ অনুষ্ঠানে এসে তাঁর কন্যা শ্বেতা বচ্চন নন্দ জানিয়েছিলেন, জয়ার অনুমতি না নিয়ে কেউ ছবি তুললে তিনি অসম্ভব রেগে যান। অনেক লোক একসঙ্গে ঘিরে ধরলে তাঁর মায়ের দমবন্ধ লাগে বলেও জানান শ্বেতা।
জয়া নিজে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “খিটখিটে নই। কিন্তু কেউ বোকামি করলে আমার মাথার ঠিক থাকে না। যখন আমি কারও কথা থেকে কিছু শিখতে পারি, বা কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পারি, তখন আমার বিরক্ত লাগে না। কেউ আমার সময় নষ্ট করলে আমি রেগে যাই। বোকা বোকা ব্যাপার আমি একদম সহ্য করতে পারি না।”
অমিতাভ-জায়ার কথায়, “আমি খুবই আবেগপ্রবণ। প্রকাশ করে ফেলি। আমার স্বামী বলেন, আমি খুব বেশি রকম প্রতিক্রিয়া জানাই। আমি জানি না, এটা শিশুসুলভ ব্যাপার কি না। তবে আমি খুব স্বতঃস্ফূর্ত। ও ভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে কিছু করতে পারি না।”
কর্ণ জোহরের পরিচালনায় ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকহানি’ মুক্তি পাবে আগামী জুলাই মাসে। এই ছবিতে জয়ার সহ-অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, রণবীর সিংহ, শাবানা আজমি। এই ছবি দিয়ে এক দশক পরে অভিনয়ে ফিরছেন জয়া।
এর আগে জয়াকে দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ‘সানগ্লাস’ (২০১৩) ছবিতে। তবে সে ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি। ২০১৬ সালে আর বালকি-র ‘কি অ্যান্ড কা’ ছবিতে জয়ার বিশেষ উপস্থিতি ছিল।