চড় মেরেছে বেশ করেছে, মেয়ের পক্ষ নিলেন মা।
শুটিঙের সময় ফ্লোরে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। সবার মেজাজ সপ্তমে। কাজেই মতবিরোধ, অশান্তি স্বাভাবিক ঘটনা। সিনেমার সেটে সহ-অভিনেত্রী অমৃতা রাওকে সপাটে চড় মেরেছিলেন এষা দেওল। যা নিয়ে একটুও অনুতপ্ত নন হেমা-কন্যা। তা ছাড়া, মা হেমা মালিনীও সমর্থন করে মেয়েকে বলেন, ‘‘বেশ করেছ।’’
২০০৫ সাল। ‘পেয়ারে মোহন’ ছবির সেটে হঠাৎ বচসা শুরু হয়েছিল দুই নায়িকার। এষার দাবি, তাঁকে সমানে উত্ত্যক্ত করছিলেন অমৃতা। এক সময় এতই রেগে যান, যে ঘুরিয়ে চড় মেরে দেন এষা।
পরে এ প্রসঙ্গে কথা উঠলে এষার সাফ জবাব, “যদি কেউ কিছু ভুল করে এবং কথা বলে সেটা না শুধরানো যায়, সে ক্ষেত্রে হাত চলবে এটাই স্বাভাবিক।” পাশে ছিলেন ‘ড্রিম গার্ল’ হেমাও। মেয়ের কথার মাঝখানে বলে ওঠেন, “দেখুন, কেউ যদি সোজা কথায় কোনও কিছু না বোঝে তা হলে আমাদের অন্য পন্থা নিতেই হয়।”
বাকিটা শেষ করেন এষা। মায়ের কথার সুর ধরে বলেন, “হাতদুটো আর রয়েছে কী করতে, যদি কাজেই না লাগালাম?”
আগেও এষা বলেছিলেন, শুটিং ফ্লোরে সকলের সামনে তাঁকে হেনস্থা করছিলেন অমৃতা। পরিচালক ইন্দ্র কুমার থেকে শুরু করে চিত্রগ্রাহক সবাই ছিলেন। রীতিমতো অপমানিত বোধ করেছিলেন অভিনেত্রী। তাই নিজের সম্মান বাঁচাতেই অন্য উপায়ে অমৃতার মুখ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। অমৃতাও নাকি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। ক্ষমা চেয়েছিলেন। ‘ধুম’ নায়িকা ক্ষমাও করে দিয়েছিলেন তাঁকে সে বারের মতো। আর কোনও খারাপ লাগা পুষে রাখেননি কেউই।