দিশাকে কেন বাতিল করলেন নির্মাতারা?
‘বাহুবলী’ খ্যাত প্রভাস ছবির নায়ক। নির্মাতারা ভেবেছিলেন উঠতি অভিনেত্রী দিশা পটানি এতেই উৎসাহী হবেন। কিন্তু হল ঠিক উল্টো। অনেক দিন ধরে ঝুলিয়ে রেখে দিশা চেয়ে বসলেন ৫ কোটি টাকা। তাতেই পিছু হটলেন পরিচালক সুজিত। ২০১৯ সালের ছবি ‘সাহো’তে শেষমেশ নায়িকা হলেন শ্রদ্ধা কপূর। কিন্তু তাঁর পারিশ্রমিক শুনলে আরওই চমকে যেতে হয়। দিশা তো তা-ও কম দাবি করেছিলেন। তবু কেন নায়িকা হিসাবে বাদ দেওয়া হল তাঁকে?
২০১৭ সাল। হঠাৎ খবর চাউর হয়ে গেল, ‘সাহো’র নায়িকা হচ্ছেন দিশা। নির্মাতারা নিশ্চিন্ত ছিলেন যে, অভিনেত্রী রাজি হবেন। তবে পারিশ্রমিকের অঙ্ক শুনেই সিদ্ধান্ত বদলান। তা ছাড়া দিশা তো তখনও সে ভাবে জনপ্রিয় হননি। তাই সব দিকে ভেবেচিন্তে শুরুতে ভাবা শ্রদ্ধা কপূরেই ফিরে আসে ‘সাহো’ পরিবার। নির্মাতাদের এক ঘনিষ্ঠ সদস্য বলেন, “দিশা তেলুগু ছবিতেই কেরিয়ায় শুরু করেছিলেন, তাই আমরা ভেবেছিলাম ‘সাহো’র প্রস্তাব লুফে নেবেন তিনি। এ দিকে দেখাই করতে চাইলেন না বহু দিন। তার পর যখন করলেন, জানালেন, চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছে কিন্তু নেবেন ৫ কোটি। আচ্ছা, বলুন তো কোন বলিউড প্রযোজক দিশাকে তখন অত টাকা দিতে রাজি হতেন? আমরাও হইনি।”
তার পর শ্রদ্ধা নায়িকা হতে রাজি হলেন। কিন্তু চাইলেন ৮ কোটি টাকা। সেই শুনে দৌড় দিতে চেয়েছিলেন প্রযোজক। তবে অভিনেত্রীর দৃঢ় সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “চিত্রনাট্য খুব ভাল লেগেছে এবং আমি প্রভাসের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কিন্তু পারিশ্রমিক ওটাই নেব।” তেলুগু ছবির জগতে এত টাকা কোনও অভিনেত্রীকে দেওয়া অকল্পনীয় ছিল তার আগে। কিন্তু শ্রদ্ধাকে দিতেই হয়েছিল। যদিও এত কিছুর পরও বক্স অফিসে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয় ‘সাহো’।