টুইঙ্কল খান্না ( বাঁ দিকে )। যে ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত হতে হয়েছিল টুইঙ্কল খন্নাকে ( ডান দিকে )। ছবি: সংগৃহীত।
ছবির চরিত্র হিসাবে নয়, বাস্তব জীবনেই অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হতে হয়েছিল অক্ষয় কুমার-টুইঙ্কল খন্নাকে। টুইঙ্কল গ্রেফতারও হন সেই অভিযোগের ভিত্তিতে।
২০০৯ সালে টুইঙ্কল এবং অক্ষয় জড়িয়ে পড়েন একটি বিতর্কিত ঘটনায়, যার জের চলেছিল বহু বছর। একটি ফ্যাশন শো-তে র্যাম্পে হাঁটছিলেন অক্ষয়। সামনের সারিতেই বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী টুইঙ্কল। অক্ষয় সোজা চলে যান তাঁর সামনে। তাঁর হাত নিয়ে আসেন জিনসের বোতামের দিকে। অক্ষয়ের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে প্রথমে হাত সরিয়ে নিয়েছিলেন টুইঙ্কল। কিন্তু পর মুহূর্তেই দ্বিধা কাটিয়ে তাঁর কথা মতো কাজ করেন। এক টানে খুলে দেন অক্ষয়ের জিনসের বোতাম। আশপাশের দর্শক হাততালি দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন, হেসে উঠেছিলেন অক্ষয়ও।
তবে এখানেই ব্যাপারটা শেষ হয়ে যায়নি। জনসমক্ষে অশ্লীল আচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন দু’জনেই। ২০১৬ সালে ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর পঞ্চম সিজ়নে এসেও সেই ঘটনার কথা তুলেছিলেন টুইঙ্কল। জানিয়েছিলেন, তিনি ৫০০ টাকার বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন, অক্ষয়ও মুক্তি পেয়েছেন ঝামেলা থেকে। টুইঙ্কল ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তাঁদের আইনজীবীকে।
টুইঙ্কল বলেছিলেন, “বহু লোক এই ভাবে ঘুরে বেড়ায়, পুলিশ স্টেশনের দেওয়ালে প্রস্রাব করে, কাউকে গ্রেফতার হতে হয় না, আমিই হয়েছিলাম। আমারটাই এই শতাব্দীর একটা অপরাধ হয়ে গেল!”
কর্ণ জানতে চান, মামলা এখনও চলছে কি না। টুইঙ্কল বলেন, “চলছে। তবে অক্ষয় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমার উপরেই খাঁড়া ঝুলছে। আমাদের আইনজীবী এক জনই। তিনি বলেছিলেন, দু’জনের মধ্যে এক জনকে বার করে আনা যাবে। আমি বলেছিলাম, সেটাই হোক।”
টুইঙ্কল জানান, সেই আইনজীবী একটি পিটিশন দাখিল করে বলেছিলেন, “আমার মক্কেল (অক্ষয়) ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই মহিলাই তাঁকে হেনস্থা করেন, তাঁর জিনসের বোতাম খুলে দেন।”
৫০০ টাকার বন্ডে জামিনে বাইরে আছেন টুইঙ্কল। তাঁর উইকিপিডিয়া পেজেও আছে এই তথ্য যে, অশ্লীলতার দায়ে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। টুইঙ্কলের কথা শুনে হেসে উঠেছিলেন অক্ষয় এবং কর্ণ। প্রাক্তন অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, এমন কাণ্ড করার ইচ্ছে ছিল না তাঁর, স্বামীর চাপাচাপিতেই করেছিলেন এমনটা।
টুইঙ্কলের কথায়, “শুধু উপরের বোতামটাই খুলেছিলাম। পরের দিন অক্ষয় পদ্মশ্রী পেল আর আমি মায়ের ফোন পেলাম। জানলাম যে পুলিশ আমায় গ্রেফতার করবে।”