তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং রসায়ন ঠুনকো দাম্পত্যের যুগে নজির সৃষ্টি করেছে। —ফাইল চিত্র
ঐশ্বর্যা রাই জীবনে আসার পর সব কিছু বদলে গিয়েছে অভিষেক বচ্চনের। বিয়ের আগে একসঙ্গে একই ছবিতে কাজ করছেন এই জুটি। ২০০০ সালে ‘ঢাই অক্ষর প্রেম কে’ এবং ২০০৩ সালে ‘কুছ না কহো’ হয়ে ঐশ্বর্যা-অভিষেকের প্রেম গড়ায় পর্দা ছাপিয়ে জীবনে। বেশ কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০০৭ সালে চার হাত এক করেন যুগলে। তার পর থেকে বন্ধুর মতো একসঙ্গে পথ চলেছেন। তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং রসায়ন ঠুনকো দাম্পত্যের যুগে নজির সৃষ্টি করেছে।
৫ ফেব্রুয়ারি অভিষেকের জন্মদিন। ৪৭ বছর পূর্ণ হল অভিনেতার। ঐশ্বর্যার চোখে আজও তিনি “রুচিশীল, শৌখিন, সৌম্য-শান্ত মানুষ। ঝলমলে শিরস্ত্রাণ পরা যোদ্ধা।” বিয়ের পর একসঙ্গে মণি রত্নমের ‘রাবণ’-এ অভিনয় করেছিলেন জুটি। তাঁদের জীবনে উপহার হয়ে এসেছে কন্যা আরাধ্যা। তার বয়সও এখন ১১ বছর। এই দীর্ঘ পথ চলায় ঐশ্বর্যার সান্নিধ্য কী ভাবে ছায়া দিয়েছে অভিষেককে? জানালেন নায়ক।
তাঁর কথায়, “আমায় আত্মবিশ্বাসী করেছে, আমার স্ত্রী ঐশ্বর্যা। আগে আমার মধ্যে সেই মর্যাদাবোধ ছিল না। পরিবারের সবচেয়ে ছোট আমি। বড় দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে অনেক আগে। ঐশ্বর্যা আমায় সিংহীর মতো আগলে রেখেছে। আগে আমি কোনও কিছুতে থাকতাম না। দায়িত্ব নিতাম না। কিন্তু বিয়ের পর স্বাভাবিক ভাবেই বুঝতে পারি, দায়িত্ব নিতে ভাল লাগছে। আমি এখন সেই দায়িত্ববান পুরুষ, যে তার স্ত্রীর খেয়াল রাখে, তার যত্নে নিজেকে সঁপে দিতে চায়।”
প্রাইম ভিডিয়ো সিরিজ ‘ব্রিদ: ইনটু দ্য শ্যাডোজ’-এর দ্বিতীয় সিজনে আবার ফিরেছেন অভিষেক। অন্য দিকে ঐশ্বর্যা দক্ষিণের হিট ছবি ‘পোন্নিয়িন সেলভান ১’-এর জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। ছবির দ্বিতীয় পর্বেও দেখা যাবে তাঁকে। সেটি মুক্তি পাবে কয়েক মাস পর।