সুশান্ত-অঙ্কিতা।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে সম্পর্ক চুকে গিয়েছিল ২০১৬ সালে। তবে অভিনেতার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। ‘ইনসাফ’ চেয়ে গলাও ফাটিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে।
সেই অঙ্কিতাই সুশান্তের মৃত্যুর ১০ মাস পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন একাধিক বড় কাজের সুযোগ। শাহরুখ খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ এবং সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘বাজিরাও মস্তানি’ নাকি সেগুলির মধ্যে অন্যতম।
২০১৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে সুশান্তও কথা বলেছিলেন অঙ্কিতার কাজ ছেড়ে দেওয়া সম্পর্কে। নিজেকে যদিও এ বিষয়ে জড়াননি প্রয়াত অভিনেতা। সুশান্ত বলেছিলেন, “কাজের কথা হচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়নি।” এই প্রসঙ্গে নিজের তুলনাও টেনে এনেছিলেন সুশান্ত। জানিয়েছিলেন, প্রথম ছবি ‘কাই পো চে’র পর তাঁকে নিয়েও প্রায় ২৫টি ছবির কথা হয়েছিল। কিন্তু সব পরিকল্পনা সফল হয়নি। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা জানিয়েছিলেন, সেই সময়ে পেশার থেকেও ব্যক্তিগত সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের নিজের কেরিয়ারের দিকে মন দেন অভিনেত্রী। ২০১৯ সালে কঙ্গনা রানাউতের ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। গত বছর ‘বাঘি ৩’ ছবিতেও দেখা যায় তাঁকে।