রূপাঞ্জনা মিত্র। —ফাইল চিত্র
রূপাঞ্জনা মিত্রের এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে খেপে উঠল পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন (মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরাম)। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যেখানে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, অভিনেত্রী মিথ্যা কথা বলেছেন। দশ বছর ধরে আর্টিস্ট ফোরামের সদস্য থাকার পরও এই পদ ছেড়ে দিলেন কেন রূপাঞ্জনা?
সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী জবাব দেন, “কোভিড-পরবর্তী আর্টিস্ট ফোরামকে শিল্পীদের হিতের বিপরীতে কাজ করতে দেখেছি। শিল্পীদের স্বার্থে যে আর্টিস্ট ফোরাম তৈরি হয়েছিল, তার অস্তিত্বই এখন সঙ্কটে। প্রযোজকেরা ইচ্ছেমতো এক-দেড় মাস পর পারিশ্রমিক দিচ্ছেন। শিল্পীরা আরও নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। বীতশ্রদ্ধ হয়েই সংগঠন ছেড়েছি।’’ রূপাঞ্জনার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে আর্টিস্ট ফোরাম। তাঁদের বিজ্ঞপ্তিতে অভিনেত্রীর যাবতীয় বক্তব্য ‘মিথ্যা’ এবং ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলেই জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, “২০২০ সালের মার্চ মাসের পর তিনি ( রূপাঞ্জনা) ফোরামের সদস্য না থাকা হেতু সংস্থার কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনও ভাবেই অবহিত নন।” অন্য কোনও শিল্পীর তরফে এমন অভিযোগ নেই বলেও তাঁরা উল্লেখ করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “ফোরামের সদস্য নন, এমন কোনও শিল্পীর ফোরাম সংক্রান্ত অনধিকার চর্চা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যে হেতু শ্রীমতী মিত্রের সাক্ষাৎকার একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, তাই ফোরামও গণমাধ্যমের কাছে নিজের বক্তব্য জানাচ্ছে।”
এ বিষয়ে রূপাঞ্জনা মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, সবে বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে জেনেছেন। কিন্তু সকালে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটাই পড়া হয়নি তাঁর এখনও। অভিনেত্রীর কথায়, “বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করতে পারব না এখন। কারণ মূল সাক্ষাৎকারটাই এখনও আমার পড়া হয়ে ওঠেনি। আমি কাল রাতেই হায়দরাবাদ থেকে ফিরেছি। আগে সব ভাল করে পড়ে নিই। আমার কথার ভুল মানে করা হয়েছে কি না, সেটাও বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। তার পর নিশ্চয়ই কোনও মন্তব্য করব।”