দায়িত্বে থাকছেন রঞ্জিত এবং অঙ্কুশ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরামের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন প্রবীণ অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। কার্যনির্বাহী সভাপতি জিৎ। সহ-সভাপতি পদে রইলেন পাঁচ শিল্পী— সব্যসাচী চক্রবর্তী, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, অপরাজিতা আঢ্য এবং ভরত কল। সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। যুগ্ম সম্পাদক পদে দিগন্ত বাগচীর সঙ্গে নতুন সংযোজন অঙ্কুশ হাজরা। টলিউডে প্রায় এক দশকের বেশি সময় কাটিয়ে এই সংগঠনে নিজের জায়গা করে নিলেন তিনি। নতুন দায়িত্ব পেয়ে খুশি অভিনেতা।
আনন্দবাজার অনলাইনকে অঙ্কুশ বলেছেন, “দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। আমি এত দিন ছবি করেছি, সেই ছবির প্রচার করেছি। আমার সেইটুকুই কাজ ছিল। এ বার দায়িত্ব বাড়ল। যাঁরা আছেন, আশা করি তাঁরা আমাকে সব শিখিয়ে পড়িয়ে নেবেন।” শিল্পীদের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে কাজ করতে চান ‘এফআইআর’ অভিনেতা। করোনাকালে তাঁদের সুরক্ষার সঙ্গে আপস না করেও কী ভাবে কাজ অব্যাহত রাখা যায়, সে বিষয়েও ভাবতে চান তিনি।
শিল্পী সংগঠনের নতুন কমিটিতে সহকারী সম্পাদক কুশল চক্রবর্তী এবং শুভাশিস মিত্র। তাপস চক্রবর্তী এবং সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন কোষাধ্যক্ষ এবং সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে। পার্থসারথি দেব, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পায়েল দে, শুভ্রজিৎ দত্ত, অনিন্দ্য চক্রবর্তী এবং শঙ্কর চক্রবর্তীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
যুগ্ম সম্পাদক দিগন্ত বাগচী জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি লক্ষ্য পূরণের দিকে নজর দেবেন তাঁরা। বর্তমানে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে আর্টিস্ট ফোরামের দফতর। এই সংগঠনের নিজস্ব একটি জায়গা চান দিগন্তরা। সেখানে সদস্যদের জন্য শরীরচর্চার জায়গা, লাইব্রেরি, সভাঘর তৈরি করতে চান। এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রির কোনও শিল্পী যাতে কর্মহীন না থাকেন, সে দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। দিগন্ত বললেন, “আমরা শিল্পীদের উপার্জনের দিকে নজর দিতে চাই। সাড়ে তিন হাজার শিল্পীর মধ্যে ছ’শো-সাতশো জন ছাড়া নিয়মিত কেউ কাজ পান না। সকলকেই যাতে কাজের পরিস্থিতি বা পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করব আমরা। প্রযোজকদের কাছেও অনুরোধ জানাব এ বিষয়ে।” এ ছাড়াও কোভিড পরিস্থিতিতে শিল্পীদের সুবিধা-অসুবিধার কথাও মাথায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন দিগন্ত।