Sreelekha Mitra

লকডাউনের সময়ও শুনতে হচ্ছে হাফপ্যান্ট পরে কেন কুকুরকে খাওয়াচ্ছি: শ্রীলেখা

‘‘আমি ২৩টি কুকুরের খাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছি। নিজে নুডলস খাচ্ছি। ব্রেকফাস্ট স্কিপ করছি। ভাবছি, এই ভাল ডায়েট হয়ে যাচ্ছে ওদের জন্য। আমি তো কারোর কোনও ক্ষতি করিনি। তা হলে এখানকার বাসিন্দারা সরাসরি আমায় আক্রমণ করছেন কেন?’’ ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শ্রীলেখা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ১৫:০৭
Share:

কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন শ্রীলেখা।

করোনার ত্রাসে বিশ্ব যখন আতঙ্কিত, ঠিক তখনই বরিষার মতিলাল গুপ্ত রোডের এক আবাসনে কিছু বাসিন্দার কুরুচিকর মন্তব্যের স্বীকার হলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি ওই আবাসনেই থাকেন।

Advertisement

লকডাউনের সময় এমনিতেই মানুষের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। রেস্তরাঁ বন্ধ। খোলা নেই রাস্তার হোটেল। রাস্তার কুকুরেরা খাবে কী?

‘‘আমি ২৩টি কুকুরের খাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছি। নিজে নুডলস খাচ্ছি। ব্রেকফাস্ট স্কিপ করছি। ভাবছি, এই ভাল ডায়েট হয়ে যাচ্ছে ওদের জন্য। আমি তো কারোর কোনও ক্ষতি করিনি। তা হলে এখানকার বাসিন্দারা সরাসরি আমায় আক্রমণ করছেন কেন?’’ ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শ্রীলেখা।

Advertisement

ওই আবাসনের ফেসিলিটি ম্যানেজার সঞ্জয় নস্কর বললেন, ‘‘আমি এখন আবাসনে যেতে পারছি না। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে শুনেছি, গতকাল শ্রীলেখা ম্যাডাম রাস্তার কুকুরদের আবাসনের মধ্যে ঢুকিয়ে খাবার খেতে দেন। ওখানকার বাসিন্দারা রাস্তার কুকুরকে আবাসনে ঢুকিয়ে জীবাণু বাড়ার আশঙ্কায় ম্যাডামের এই কাজের বিরোধিতা করেন।’’

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে ওই আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে শ্রীলেখার নানা রকম ঝামেলা চলছিল। ‘‘প্রথম দিকে এখানকার বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, এই কুকুরদের খাওয়ানো বুঝি হিরোইন সুলভ ন্যাকামি! বেশ কিছু দিন আমার ওপর গোয়েন্দাগিরি করে দেখেন, বিষয়টা তা নয়। তখন তাঁরা আমার পোশাক নিয়ে আক্রমণ করলেন। হাফ প্যান্ট পরে আমি কেন কুকুরদের খাওয়াব? আশ্চর্য!’’ বিস্মিত শ্রীলেখা!

আরও পড়ুন- সরকারি নিয়ম না মানলে প্রেম করব না’, লকডাউনে মিমির টোটকা

যে ধরনের মন্তব্য, টেক্সট মেসেজ ইদানীং শ্রীলেখার কাছে আসছে তাতে তিনি বিধ্বস্ত, ক্লান্ত। তাঁর বিশ্বাস, তিনি মেয়ে, তায় একা ফ্ল্যাটে থাকেন, তাই তাঁকে আক্রমণ করা অনেক সহজ। আর সেটাই হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাতে অপমানিত শ্রীলেখা ফেসবুক লাইভ করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। পরে যদিও তিনি ওই লাইভটি ডিলিট করে দেন।

‘‘আমি বড্ড বেশি রিঅ্যাক্ট করে ফেলেছিলাম। এই আবাসনের বাসিন্দারা ধরেই নিয়েছেন, কুকুর থেকেই করোনা আসবে! যেন মানুষ থেকে করোনা আসছে না। কুকুররা আমার সন্তান। ওরা আবাসনের ভেতরে যাতে বাথরুম করে নোংরা না করে তার জন্যও আমি প্লাস্টিক হাতে নিয়ে ঘুরছি! ওটাও পরিস্কার করা আমার দায়িত্ব! তার পরেও এত বিরোধিতা!’’

আরও পড়ুন- মাছি থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস, ভিডিয়ো বার্তায় হুঁশিয়ারি অমিতাভের

কিন্তু লাইভ কেন ডিলিট করেছেন শ্রীলেখা? প্রশ্ন করতেই জানালেন, মেয়ে ধমক দিয়ে লাইভ ডিলিট করিয়েছে।

লকডাউনের সময় রাস্তার কুকুরেরা খাবে কী? তাদের কে খেতে দেবে? এই ভাবনা থেকেই কুকুরদের খাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হন শ্রীলেখা। কিন্তু, তাদের খেতে দেওয়ার জন্য যে তাঁকে পোশাক থেকে স্বভাব, এত কিছু নিয়ে আক্রমণের মুখোমুখি হতে হবে এটা মেনে নিতে পারছেন না শ্রীলেখা। ‘‘প্রচুর টাকা দিয়ে মানুষ আবাসনে আসছেন। দরজা বন্ধ করে শুধু নিজেরটুকু ভাবছেন। এই আতঙ্কের দিনেও মানুষের মূল্যবোধ কাজ করছে না। আমি কারও পরোয়া না করে সোজা কথা বলি। তাই সমস্যা!’’ সাফ কথা শ্রীলেখার। তিনি এ বার থানায় যাওয়ার কথা ভাবছেন।

শুধু তাই নয় ঘণ্টা খানেক আগে ফেসবুকের একটি ভিডিয়ো পোস্টে শ্রীলেখা জানিয়েছেন, আজ তিনি কুকুরদের খাওয়াতে পেরেছেন। ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে তিনি বলছেন, “আমার হাতে ছুরি। যদি কেউ আমাকে বাধা দিতে আসে, তাহলে...উসকা ম্যায় খুন পি যায়ুঙ্গি”।

দেখুন কী বলছেন শ্রীলেখা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement