দেব।
লকডাউনের জেরে বন্ধ হল হবুচন্দ্র রাজা ও গবুচন্দ্র মন্ত্রীর মুক্তির দিন। কথা ছিল ১ মে ছবিটি আসবে।
কী বলছেন ছবির প্রযোজক?
সাংসদ, অভিনেতা দেব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উধাও। ২৫ মার্চ গৃহবন্দি দশা থেকে তিনি জানিয়েছেন, “‘গোলন্দাজ’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছি ৷ পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে শুয়ে আছি৷ এটাই আমার গৃহবন্দি দশা!” আজ টুইতে জানিয়েছেন ‘হবুচন্দ্র রাজা ও গবুচন্দ্র মন্ত্রী’-র পিছিয়ে যাওয়ার কথা।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যান্য অভিনেতাদের মতো তাঁকে দেখা আর দেখা যাচ্ছে না!
কেন?
আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন দেব, “সোশ্যাল মিডিয়া নয়, আমি আমার বাড়িকে দেখছি।লকডাউনে থেকে বুঝলাম বাড়িতে এমন অনেক জায়গা আছে, কর্নার আছে যা আগে কনোদিন বসিইনি! অনুভব করিনি বাড়ির ব্যাল্কনিতে দাঁড়িয়ে সূর্যের আলো শরীরে নিতে পারি!”
আরও পড়ুন- ঋতুদা বলেছিল ‘সর্বনাশ, তুই বাড়িতে এ ভাবে হাঁটিস’! ‘পুপে’র স্মৃতি হাতড়ালেন মিমি
দেবের বাবা গুরুপদ অধিকারী এখন বাড়িতে। তাঁকে সামলাচ্ছেন দেব। তিনি বললেন, “বাবার ষাট বছর বয়স। টেনশন করছে।আমাদের রেস্তরাঁর কী হবে? লোকজন আসবে কি না...চিন্তা করছে। এখন বাড়িতে আছি সামলাচ্ছি বাবাকে”। দেব জানালেন সাংসদ হিসেবেও তাঁর এলাকার ডিএম-এর সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছে তাঁর।ত্রাণ থেকে সতর্কতা সব দিকেই নজর রাখছেন সাংসদ। কিন্তু কোনোকিছুকেই এই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে ফলাও করে প্রচার করতে চান না দেব। বরং বললেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে এসে গৃহবন্দি অবস্থায় নিজেকে নতুন করে চিনছেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে বললেন, “জানেন একটা দামি প্রজেক্টর কিনেছিলাম।এতদিন সে দিকে নজরই পড়েনি। আজ হাত দিয়ে দেখি খারাপ হয়ে পড়ে আছে”। কাজপাগল দেব এতেই ক্ষান্ত হননি ইউটিউব দেখে শিখে নিয়েছেন কী ভাবে প্রজেক্টর সারানো হয়।বাড়ি, সংসারের দায়িত্ব- এক ভিন্ন চেহারায় দেব নিজেকে তুলে ধরছেন। সাংসদ হলেও সঙ্গে কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা ড্রাইভার রাখেননি।
একেবারেই স্টারসুলভ ভঙ্গি নয়, বরং পাশের বাড়ির ছেলের মতোই বললেন দেব,” “জিনিস কেনার ক্ষেত্রে আমাদের চোখের খিদে বড্ড বেশি।ভাল কিছু দেখলেই কিনে ফেলি। লাগল কি লাগল না সে নিয়ে আর ভাবি না। লকডাউন আমায় এই বিষয়গুলো বুঝতে শেখাল”।
আরও পড়ুন: বলিউডে করোনা কাঁটা: হাসাপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন কণিকা, আক্রান্ত শাজা মোরানি
ইন্ডাস্ট্রির অন্য লোকজনের মতো খুব যে ভিডিয়ো কল বা জুমে থাকছেন দেব এমনটাও নয়। বললেন, “কাজের সূত্রে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ কাজ না থাকায় তাঁদের সঙ্গে এখন কথা হচ্ছে না। তবে খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন, অতনুদা আর লীনাদির সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে”।
ইচ্ছে করেই কী এড়িয়ে গেলেন রুক্মীণির প্রসঙ্গ?
বললেন, “রুক্মিণীর সঙ্গে ভিডিয়ো কল করছি না। ওর সঙ্গেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেইন্টেন করছি”, জানালেন দেব।