অভিনেত্রী তৃণা সাহা।
নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহাও রাজনীতিতে আসছেন? শাসকদলে তাঁদের যোগদান নাকি সময়ের অপেক্ষা? এই ২ প্রশ্নে জেরবার তারকা দম্পতি। বৃহস্পতিবার বিয়ের এক মাস পূর্ণ করলেন ‘তৃনীল’। সকাল থেকে শুটিংয়ে ব্যস্ত তাঁরা। যদিও দিনটিকে স্মরণীয় করতে সামাজিক পাতায় বিয়ের নানা মুহূর্তের কোলাজ ভিডিয়ো আকারে শেয়ার করেছেন। ব্যস্ততার মধ্যেই একটু সময় বের করে একান্তে কিছুক্ষণ কাটিয়েওছেন তারকা দম্পতি।
আসল সত্যি জানতে আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল তৃণার সঙ্গে। বিয়ের প্রথম মাসের শুভেচ্ছা জানাতেই একদম গুনগুন স্টাইলে কথা শুরু করলেন অভিনেত্রী, ‘‘সকাল থেকে প্রচণ্ড ব্যস্ত আমরা। চুটিয়ে উপভোগ করব দিনটিকে, সেই ফুরসত নেই। তার মধ্যেই সবার এই দু’টো প্রশ্ন! হঠাৎ কেন এ রকম মনে হচ্ছে? আমরা কি প্রকাশ্যে কিছু জানিয়েছি?’’
নীল-তৃণার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই ২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। প্রতিদিন তারকারা রাজনীতিতে পা রাখছেন। দলবদল করছেন। সেই জায়গা থেকেই কি নীল-তৃণাকে নিয়ে আগাম অঙ্ক কষছে সংবাদ মাধ্যম, অনুরাগীরা? বিষয়টি নিয়ে তৃণার মত, তিনি এবং নীল ভাল মানুষদের সঙ্গে থাকতে চান। ভাল কাজ করতে চান। সেটা যে রাজনীতির মাধ্যমেই করবেন, এমনটা নয়। আবার ভবিষ্যতে কখনও পা রাখবেন না রাজনীতিতে, সেটাও বলছেন না। পুরোটাই তাঁরা ছেড়ে দিয়েছেন সময়ের উপর।
নীল-তৃণার বিয়েতে মুখ্যমন্ত্রী।
গুনগুনের ‘ক্রেজি’ কৌশিক রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অবসরে রাজনৈতিক মত বিনিময় করেন তাঁরা? এ বারেও স্পষ্ট জবাব, ‘‘শুট না থাকলে খুনসুটিতে মাতি। আড্ডা মারি কৌশিকদার সঙ্গে। রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয় না আমাদের মধ্যে।’’ সঙ্গে এও যোগ করলেন, কৌশিক ভীষণ ভাল মানুষ। দুর্দান্ত অভিনেতা। ইতিবাচক মন নিয়ে সবার সঙ্গে মেশেন। এমন মানুষ রাজনীতিতেও যে সফল হবেন সেটাও সময়ই বলে দেবে।