বিজেপি-র পতাকা হাতে নিয়ে শ্রাবন্তী, তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে রাজ
এক জন ঘাসফুলে নাম লেখালেন। আর এক জন পদ্মফুলে। মাঝে ঠিক ৮ দিনের ব্যবধান। কিন্তু দুই তারকার মধ্যে যে বহু দিনের সুসম্পর্ক, তা নিয়ে ওয়াকিবহাল গোটা টলি-পাড়া। সোমবার বিকেলের পর থেকেই একটা প্রশ্ন জেগেছে বঙ্গবাসীর মাথায়, ‘এঁদের সম্পর্কের সমীকরণে কি তবে চ্যুতি ঘটল?’ উত্তর পাওয়া গেল মঙ্গলবারই।
ঘাস ও পদ্মের মধ্যে বিস্তর ফারাক ও দ্বন্দ্ব থাকলেও দুই তারকার মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিরোধ নেই। টলিউডের ‘মিষ্টি মেয়ে’ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে আদর করে ‘গিন্টু’ বলে ডাকেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। শ্রাবন্তীকে এই নাম তাঁর বাবা দিয়েছেন বটে। কিন্তু তাঁর ‘রাজদা’-র ডাকের মধ্যে ততটাই অপত্য স্নেহ মিশে থাকে।
২৪ ফেব্রুয়ারি সাহাগঞ্জে গিয়ে মমতার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন টলিউডের রাজ চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন টলিউডের আরও কয়েক জন শিল্পী। অভিনেত্রী মানালি দে, জুন মাল্য, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, পরিচালক ও প্রযোজক সুদেষ্ণা রায় প্রমুখ।
কাট টু, মার্চের প্রথম তারিখে বিকেল বেলা কলকাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপি-র পতাকা তুলে দিলেন অভিনেত্রীর হাতে। পরলেন পদ্মফুলের উত্তরীয়।
রাজের ‘কানামাছি’, ‘কাটমুণ্ডু’, ইত্যাদি একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী। সম্পর্ক বহু দিনের। মঙ্গলবার রাজ চক্রবর্তীর একটি পোস্ট দেখে বোঝা গেল, রাজনীতির জন্য সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে রাজি নন রাজ ও শ্রাবন্তী।
মঙ্গলবার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে একটি পোস্ট করেছেন নেটমাধ্যমে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি-র পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী। আর ক্যাপশনে লেখা, ‘প্রণাম। গতকাল থেকে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হল। তাই আপনাদের কাছে নত মস্তকে আশীর্বাদ কামনা করছি। একজন মা এবং নারী হিসেবে চাইব আমাদের সবার সন্তান যেন ‘সোনার বাংলা’ তে বড় হয়ে উঠুক।’ সেই পোস্টটি টুইটারে শেয়ার করেছেন পরিচালক। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার শুভকামনা’। পাশে ভালবাসার ও করজোড়ের চিহ্ন। যদিও ২ ঘণ্টা আগের সেই পোস্টে শ্রাবন্তীর কোনও মন্তব্য এখনও দেখতে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু তাঁরা দু’জনেই যে তাঁদের সম্পর্ক ‘কু’ না করে ‘সু’-তেই বজায় রাখতে চান, তা স্পষ্ট হল নেটমাধ্যমে।