শ্রীলেখা মিত্র
অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল বাংলা সহ গোটা দেশ। তার মধ্যেই চলছে '২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। তাল মিলিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারও। রাজ্যবাসী ক্ষুব্ধ বিষয়টি নিয়ে। নেটমাধ্যমে বহুজন সরব, অতিমারি ঠেকাতে কেন অনলাইনে প্রচার হচ্ছে না? বিষয়টি নিয়ে প্রথম পদক্ষেপ করে বাম দল। সূর্যকান্ত মিশ্র দিন কয়েক আগেই জানান, সাধারণের স্বার্থে কোনও বড় জমায়েত, পথসভা, জনসভা করবে না সিপিএম। রবিবারেই তাঁর কথার বিপরীত ছবির দেখা মিলল খড়দহে। কমরেড দেবজ্যোতি দাসের প্রচারে পথে বেশ বড় মিছিল। অভিনেত্রী, বাম সমর্থক শ্রীলেখা মিত্র সেই মিছিলের ভিডিয়ো লাইভে আসতেই কটাক্ষ নেটাগরিকদের, ‘২ দিন আগেই শুনছিলাম, বামেরা নাকি মানুষের কথা ভেবে বড় জমায়েত বন্ধ করছে! এ সব ধাপ্পাবাজির কোনও মানে আছে’?
মিছিলের সঙ্গে চলতে থাকা গাড়িতে শ্রীলেখা ছাড়াও বেশ কয়েক জন বাম সমর্থক ছিলেন। অভিনেত্রী এবং তাঁদের কয়েক জনের মুখে মাস্ক ছিল না। সেই নিয়েও কটাক্ষ সবার, ‘আপনারা মাস্ক পরেননি কেন?’ নেটাগরিকদের প্রশ্নের কী উত্তর দেবেন শ্রীলেখা? জানতে আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে। কথার শুরুতেই তিনি সরাসরি বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রীকে, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মাস্ক খুলে নিয়ে কথা বলেন তখন কি তাঁকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়? অন্য নেতা-মন্ত্রীরাও একই কাজ করছেন অহরহ। তখন তো কই এই প্রশ্ন ওঠে না!’’ শ্রীলেখার দাবি, গাড়িতে বা মিছিলে কেউ কারোর গা ঘেঁষেননি। যথেষ্ট দূরত্ব মেনে থেকেছেন। যাঁরা হেঁটেছেন, সবাই মাস্ক পরে ছিলেন। শ্রীলেখা এবং কয়েক জন যাঁরা গাড়িতে ছিলেন, তাঁরাই শুধু মাস্ক খুলেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য।
বামেদের প্রচার
একই সঙ্গে বড় মিছিল নিয়ে সাফাই তাঁর, সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন বড় জমায়েত হবে না। অর্থাৎ, যে ধরনের প্রচার অনুষ্ঠানে ভাইরাস দ্রুত ছড়ায় সেগুলো বন্ধ রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দল একাধিক বড় জনসভা, মিছিল বাতিল করেছে বিভিন্ন জেলায়। ছোট পথসভা, মিছিল, বাতিল করা হয়নি। তার পরেই তাঁর বক্রোক্তি, ‘‘মানুষ যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছোট মিছিল, পথসভাগুলোতেও এসে হাজির হন, তা হলে সেটা অবশ্যই অন্যদের কাছে সমস্যার বিষয়। কিন্তু জনগণকে কি রোখা সম্ভব?’’ সে ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ, নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেই সব সমস্যা মিটবে।
শ্রীলেখার আরও তোপ, বামেরা যতটুকু দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে তার সিকি শতাংশ তৃণমূল বা বিজেপি দেখাক। রবিবার রাহুল গাঁধী তাঁর সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছেন। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘বিজেমূল’-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মিলেছে কি?