মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শ্রাবন্তীর, সমর্থনে মিমি, নুসরত, কৌশানী ও নিখিল
খুব শিগগিরি সমীকরণ পালটাচ্ছে? নাকি পুরোটাই রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ? শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের একটি পোস্ট আর তাতে তৃণমূলের একাধিক তারকা-সাংসদ, রাজনীতিবিদের লাইক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তেমনটাই।
কী রকম?
আগামী নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে লড়ছেন শ্রাবন্তী। মঙ্গলবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার পরেই এক হাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ দিন মনোনয়নপত্র পেশের ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গকে দুর্নীতি, তোলাবাজি মুক্ত করে, বেহালা পশ্চিমে শুধু ক্লাবে ক্লাবে ফূর্তি করার দান খয়রাতি নয়, সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সোনার বাংলার সংকল্প নিয়ে বেহালা পশ্চিমে সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়ে আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম'।
অভিনেত্রীর এই পোস্টে লাইকের সংখ্যা ১৫ হাজারের উপরে। সেখানে জ্বলজ্বল করছে সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের নাম। প্রথম ২ জন শাসকদলের সাংসদ। কৌশানী স্বয়ং আগামী নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী।
শাসকদলের সমালোচনা, আর সেখানে 'লাইক' দিচ্ছেন সেই পক্ষের মানুষ? এ কেমন করে হয়? হতবাক নেটাগরিকেরা।
এক সময় ‘দিদি’র মঞ্চে দেখা যেত শ্রাবন্তীকে। তাঁর এই পরিবর্তনে সমর্থন জানিয়েছেন নুসরতের স্বামী নিখিল জৈনও। টলিপাড়ায় খবর, নুসরতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় নিখিলের ব্র্যান্ডেড পোশাক বিপণির বর্তমান প্রচারমুখ নাকি শ্রাবন্তী।
রাজনৈতিক বিরোধিতা সীমাবদ্ধ রাজনীতির আঙিনায়। পেশার ক্ষেত্রে কোনও বিরোধিতা নেই। প্রার্থী হিসেবে ২ শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকেই এ কথা জানিয়েছিলেন শাসক এবং বিরোধী দলের তারকা প্রার্থীরা। সেই অবস্থান থেকেই যশ দাশগুপ্তকে নেটমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারকা-সাংসদ দেব। মিমি ছুটি কাটিয়ে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্রের সঙ্গে। এটাও কি তারই প্রতিফলন? জানা যায়নি এখনও।