New Zealand vs Pakistan

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিপর্যয়ের জের, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছাঁটাই বাবর, রিজ়ওয়ান

একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচকেরা। নিউ জ়িল্যান্ড সফরের টি২০ দল থেকে বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ানকে ছেঁটে ফেলেছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১০:০৬
Share:
picture of Babar Azam and Mohammad Rizwan

(বাঁ দিকে) বাবর আজ়ম এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ান (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শুরু রবিবার ১৬ মার্চ থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভরাডুবির পর দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচকেরা। টানা ব্যর্থতার জন্য দল থেকে বাদ পড়েছেন বাবর আজ়ম। ২০ ওভারের ক্রিকেটের দলে জায়গা হয়নি সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক মহম্মদ রিজ়ওয়ানেরও। নিউ জ়িল্যান্ডের মাটিতে নতুন ভাবে শুরুর আশায় পাকিস্তান ক্রিকেট।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসা ছিলেন বাবর এবং রিজ়ওয়ান। এই দুই ক্রিকেটারকে ছাড়া পাকিস্তানের দল ভাবাই যেত না এক রকম। কিন্তু একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচকেরা। নিউ জ়িল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি দল থেকে দু’জনকেই ছেঁটে ফেলেছেন তাঁরা। বাবর দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। অন্য দিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রিজ়ওয়ান। দেশের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসাবে বিবেচিত তিনি। দু’জনেই ছিলেন তিন ধরনের ক্রিকেটে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। যদিও বেশ কিছু দিন ধরে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারছিলেন না তাঁরা। দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না কেউই। এ ছাড়াও ব্যর্থতার জন্য বাদ পড়েছেন মহম্মদ হাসনাইন এবং তায়াব তাহির। তাই কিউয়িদের বিরুদ্ধে তাঁদের ছাড়াই খেলবে পাকিস্তান।

টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ফর্মে থাকা ব্যাটার সলমন আঘাকে। দলে ফেরানো হয়েছে অলরাউন্ডার শাদাব খানকে। তাঁকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। হাসান নওয়াজ়, আবদুল সামাদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দলে জায়গা ধরে রেখেছেন খুশদিল শাহ। টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মহম্মদ হ্যারিসও। জাহানদাদ খান, ওমর ইউসুফ, ইরফান খানের মতো ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসাবে আছেন উসমান খান।

Advertisement

বোলিং বিভাগেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে তরুণদের। শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের সঙ্গে রয়েছেন আব্বাস আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিমের মতো তরুণেরা। রয়েছেন আরবার আহমেদ। দলে নেওয়া হয়েছে জোরে বোলার মহম্মদ আলিকে। তিনি এখনও দেশের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলেননি।

সব মিলিয়ে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে নতুন ভাবে শুরু করতে চাইছে পাকিস্তান। দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাক নির্বাচকেরা নামের থেকেও গুরুত্ব দিয়েছেন ফর্মকে। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় এবং তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় খেলবে পাকিস্তান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement