এই ছবিই মৃত্যুর এক দিন আগে আবারও পোস্ট করেছিলেন বিদিশা।
মডেল বিদিশা দে মজুমদার উভকামী ছিলেন? ফেসবুকে তাঁর সাম্প্রতিকতম পোস্ট নতুন করে এই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাঁর মডেল বান্ধবীকে নাকি বরাবরই ‘বৌ’ সম্বোধন করতেন তিনি। বিদিশার ফেসবুক ডিপিতে এখনও তাঁদের ছবি জ্বলজ্বল করছে। এই ছবিই মৃত্যুর এক দিন আগে আবারও পোস্ট করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘তোমাকে ভালবাসি বৌ’। পাশে আঁকা এক টুকরো হৃদয়।
প্রেমিক অভিনব বেরার পাশাপাশি তা হলে কি বিদিশার প্রেম ছিল বান্ধবীর সঙ্গেও? সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল প্রয়াত মডেলের এক বন্ধুর সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা হত। বিদিশা সবার সামনেই বান্ধবীকে ‘বৌ’ সম্বোধন করত। প্রথমে সবাই আলোচনা করলেও পরে তা নিছকই ঠাট্টায় পরিণত হয়। অনেক পোস্টে সেই বান্ধবীও বিদিশাকে ‘বর’ বলে ডেকেছেন। শুনেছি, ওঁরা দু’জনেই খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। বান্ধবীটি নিজেকে বিদিশার দিদিস্থানীয় বলে দাবি করেন।’’
ছবির ফ্রেম বলছে, দুই বান্ধবীর নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ একই চাদরে আবৃত। একে অপরকে বাহুতে বেঁধে ছবি তুলেছেন তাঁরা। ছবিতেও সুসম্পর্কের রসায়ন স্পষ্ট। যাওয়ার আগে এ ভাবেই কি প্রকাশ্যে আরও এক বার নিজের ভালবাসা জানিয়ে গেলেন বিদিশা? জবাব মেলেনি নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বান্ধবীর থেকে। তবে খবর, যাঁকে ঘিরে এই রটনা তিনি প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছেন। বন্ধুদের জানিয়েওছেন, কথায় কথায় বিদিশা তাঁকে নাকি রসিকতা করে বলতেন, ‘‘তুমি আমার থেকে বড়। তবু পুরুষ হলে তোমাকেই বিয়ে করতাম! তুমি কী ভীষণ সুন্দরী।’’ এক সঙ্গে ব্রাইডাল ফটোশ্যুটের সিঁদুর পরানোর সময়ে প্রায় ছুটে আসতেন বিদিশা। হাসতে হাসতে সবার সামনেই নাকি বলতেন, ‘‘আমার ‘বৌ’-কে আমিই সিঁদুর পরাব।’’
এখন সেই বান্ধবীর আফসোস, কে আর তাঁর সঙ্গে এ ভাবে খোলা মনে মজা করবে?