অস্কারের মঞ্চে উজ্জ্বল ‘নাটু নাটু’, বিবেক অগ্নিহোত্রীর মুখে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর প্রসঙ্গ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
৯৫তম অস্কারের মঞ্চে ভারতীয় ছবির জয়জয়কার। এক দিকে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। অন্য দিকে, মৌলিক গানের বিভাগে সেরার শিরোপা অর্জন করেছে ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’। দীর্ঘ জল্পনার পরে সেরার সম্মান মাথায় উঠেছে রাজামৌলির ছবির গানের। ‘নাটু নাটু’র অস্কারজয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। বলিউড থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি, ‘নাটু নাটু’র সাফল্যে আপ্লুত দেশের তাবড় তারকারা। বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির গান, কী বললেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী?
‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ পরিচালকের দাবি, ‘‘বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় ছবির জন্য এটা সুবর্ণ সময়। আমাদের ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবির হাত ধরে বিশ্বমানের দর্শকের কাছে ভারতীয় ছবির দরজা খুলেছে। তার পর সেই রাস্তায় হেঁটেই ‘আরআরআর’ সাফল্য অর্জন করেছে।’’ ‘আরআরআর’কে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ এর সাফল্যেও গর্বিত বিবেক। পরিচালক বলেন, ‘‘মনোনয়ন পেয়েছে দু’টি তথ্যচিত্র, তার মধ্যে একটি তথ্যচিত্র অস্কার ঘরে এনেছে। মঞ্চে পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোনও। এটাই তো সেরা সময়!’’ প্রসঙ্গত, অস্কারের মঞ্চে দীপিকার উপস্থিত থাকার খবর আসার পর ‘আচ্ছে দিন’ এসে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ পরিচালক।
‘নাটু নাটু’র অস্কার জয়ের পরে আঞ্চলিক ছবির উপর নজর আরও বাড়বে দর্শকের, মনে করছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। তাঁর মতে, ‘‘বলিউডের তারকাপ্রধান সিনেমার বাইরে বেরিয়ে আসল ভারতীয় সংস্কৃতির সিনেমা এখন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এটা দেখেই আমি খুশি।’’ আগামী দিনে ভারতীয় ছবির থেকে কী আশা করছেন তিনি? প্রশ্নে বিবেকের উত্তর, ‘‘বাঙালি, মরাঠি, পঞ্জাবি— সব ভাষার সিনেমা এক ‘ভারতীয় সিনেমা’র ছাতার তলায় আসুক, এবং বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক।’’ আত্মশ্লাঘার ছোঁয়া থাকলেও ভারতীয় ছবির জন্য তাঁর স্বপ্ন যে বৃহত্তর অর্থে যথার্থ, তা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।