বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
টলিপাড়ায় খুশির খবর। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। পরিবার সূত্রে খবর, ৩০ মার্চ বাসন্তী বাড়ি ফিরেছেন।
গত ৬ মার্চ থেকে দমদমের একটি নার্সিংহোমে সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ভর্তি করানো হয় ৮৭ বছর বয়সি বাসন্তীকে। তার পর থেকেই কোমায় ছিলেন অভিনেত্রী। জানা গিয়েছিল, দীর্ঘ দিন ধরেই পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত বাসন্তী। তাঁর বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর একটি কিডনিও আর সচল নেই। সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাসন্তী বললেন, ‘‘এখন ভাল আছি। কিন্তু, দুর্বলতা কাটেনি।’’ তবে অভিনেত্রী যে দ্রুত শুটিং ফ্লোরে ফিরতে চাইছেন, তা বোঝা গেল। বাসন্তী বললেন, ‘‘শুটিং তো শুরু করতে চাই। কিন্তু এখন বাড়িতে হাঁটাচলা করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। পায়ে বিশেষ একটা জোর নেই। সেরে উঠলেই আমি আবার ফ্লোরে ফিরব।’’ অভিনেত্রীর মেয়ে-জামাইও নিয়মিত বাড়িতে এসে তাঁর দেখাশোনা করছেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসার খরচ টানতে পারছিলেন না বাসন্তী। আর্টিস্টস’ ফোরাম অভিনেত্রীর পাশে ছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ‘গীতা এলএলবি’ সিরিয়ালে অভিনয় করছিলেন বাসন্তী। গল্প অনুযায়ী, অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। আপাতত বাসন্তীর সুস্থতার খবরে ইউনিটে খুশির পরিবেশ।
সত্তরের দশকে বাসন্তীর অভিনয় জীবনের সূত্রপাত। অভিনয় করেছেন একাধিক সিনেমা ও সিরিয়ালে। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি ‘মঞ্জরী অপেরা’, ‘ঠগিনী’, ‘আলো’।