ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সৌন্দর্য নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। বহু বছর ধরেই তাঁর রূপে-গুণে মুগ্ধ হয়েই পরিচালকরা নায়িকা করেছেন তাঁদের ছবিতে। অনেকেই মনে করেন, অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই ঐশ্বর্যাকে ‘যোধা আকবর’ ছবিতে নির্বাচন করেছিলেন পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর। ছবিতে রানি যোধাবাঈয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্যা।
‘যোধা আকবর’ ছবিতে ঐশ্বর্যা। ছবি: সংগৃহীত।
এই ছবিতে আকবরের চরিত্রে ছিলেন হৃতিক রোশন। তবে ছবিতে আলাদা করে ঐশ্বর্যার সাজ-পোশাক প্রশংসিত হয়। শোনা যায়, ঐশ্বর্যাকে সাজাতে কোনও খামতি রাখতে চাননি পরিচালক। ছবিতে যে অলঙ্কারে ঐশ্বর্যাকে সাজানো হয়েছিল, তার পুরোটাই তৈরি করা হয়েছিল সোনা দিয়ে। মোট ৭০ জন শিল্পী একসঙ্গে তৈরি করেছিলেন সেই নজরকাড়া গয়না। শুটিংয়ের সময় যে গয়না অভিনেত্রীর পরনে ছিল তার মোট ওজনও নেহাত কম ছিল না। সূত্রের খবর, ছবিতে ঐশ্বর্যা যে গয়না পরতেন, তার মোট ওজন ছিল ২০০ কেজি!
এখানেই শেষ নয়। মূল্যবান গয়না যাতে চুরি না হয়, তার জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন আশুতোষ। শুটিং ফ্লোরে ঐশ্বর্যার সুরক্ষার জন্য মোট ৫০ জন দেহরক্ষীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ‘যোধা আকবর’ বক্স অফিসে সফল হওয়ার পাশাপাশি ফ্যাশনেও নতুন ধারা শুরু করেছিল। বাজারে ঐশ্বর্যার ব্যবহৃত অলঙ্কারের ধাঁচে তৈরি গয়নার চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় ‘যোধা আকবর’।