ঋতাভরী-সোহম।
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে... পৃথিবীর সব প্রেম আজ ওঁদের দু’জনের মনে। প্রথম ভ্যালেন্টাইন’স ডে।
ঋতাভরী: আমি লাল রঙের হার্ট শেপ পেয়েছিলাম। সিনেমায় যেমন হয়।
সোহম: আমি তো আমার গার্লফ্রেন্ডকে বাদাম ভাজা খাইয়েছিলাম।
দু’জনের হাসি...
সামান্য দুলে উঠল ফাগুনের গঙ্গা।
আরও পড়ুন: যে দিন চোখে নেশা লেগে যাবে, সে দিনই ভি ডে
প্রেমদিবসে রঙিন বন্ধুতা নিয়ে উপচে পড়ছে ঋতাভরীর হাসি। লাল স্কিন হাগিং টপ কালো জিনস্ আর ফুরফুরে সাদা জ্যাকেট পরে লাল লিপস্টিকে তিনি ঝলমলিয়ে উঠছেন। সোহম সাদা টি শার্ট আর নীল কোটে বুনছেন ছোটবেলার দিন। ‘কলেজ লাইফে প্রথম সিরিয়াস প্রেম।’
‘‘আমার তো এক বছরেই ব্রেক আপ! এখনও যোগাযোগ আছে। এই তো বিয়ে হল সে দিন। বলে, আমি না গেলে বিয়ে করবে না! তখন ওকে বলেছিলাম, আরে! আমি কি পুরোহিত? কী ভাবে মিলে গেল দেখ! আমি তো এখন মহিলা পুরোহিত!’’ উচ্ছ্বসিত ঋতাভরী।
আরও পড়ুন: এভারেস্ট জয়ী সুনীতার গল্প এ বার বড় পর্দায়, অভিনয়ে...
এক জন খেলেন পাপড়ি চাট আর এক জন অরেঞ্জ আইসক্রিম!
পাপড়ি চাট হাতে সেলফি তোলার পরেই সোহমের আইসক্রিমে ঋতাভরীর কামড়!
হাত ধরে হেঁটে গেলেন রেললাইন ধরে। প্রথম প্রেম থেকে নতুন প্রেম, সবের মাঝে গাঢ় হল দু’জনের বন্ধুতা।
আরও পড়ুন: প্রেমের দিব্যি, গান বেঁধে চলি প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য
‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’-র শুট থেকেই তো আমাদের আলাপ। এখন তো বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গেল,’’ ঋতাভরীর থেকে সরে সরে আসতে গিয়ে সোহম বললেন। ঋতাভরী তত ক্ষণে সোহমের খুব কাছে... ‘‘এই জুটির কেমিস্ট্রি কিন্তু বার বার আসবে। অরিত্র আমাদের দু’জনকে খুব সুন্দর স্পেস দিয়েছে। চরিত্র আপনিই বেরিয়ে এসেছে,’’ বলেই সোহমের দিকে একরাশ ‘বাবল’ ছুড়ে দিলেন ঋতাভরী।
বিকেল হয়ে আসছে। প্রেম গাঢ় হচ্ছে ঋতাভরীর ঠোঁটে, বুকে। যেন গাঢ় প্রতীক্ষা...
ঋতাভরী: ‘‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে মানেই খুব খুব খুউউব প্রেম...’’
সোহম: ‘‘আচ্ছা, খুব খুব প্রেম কেমন?’’
‘‘এই তো এ রকম...' বলেই ঋতাভরী জড়িয়ে ধরলেন সোহমকে।
ফাগুনের কৃষ্ণচূড়া ফেরারি হল সন্ধ্যায়... শুধু ব্রহ্মা জানলেন সেই গোপন কম্মটি।