কয়েক বছরেই তামিল ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সম্প্রতি দর্শকদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে ছিল টেলিভিশনে ‘পান্ডিয়ান স্টোর্স’-এ তাঁর অভিনয়। কিন্তু ভি জে চিত্রার মাত্র ৭ বছরের কেরিয়ার থমকে গেল তাঁর রহস্যমৃত্যুতে।
চিত্রার জন্ম ১৯৯২ সালের ২ মে। অভিনয়জীবন শুরু ২০১৩ সালে। তামিল অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা দিয়ে সূত্রপাত কেরিয়ারের।
প্রথম শো ‘সত্তম শোলভাথু এন্না’-য় তাঁর কাজের সুবাদে পর পর বেশ কিছু সঞ্চালনার সুযোগ পান চিত্রা।
পরের বছরই প্রথম অভিনয় তামিল ধারাবাহিক ‘মন্নন মগল’-এ। এই ধারাবাহিকে তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন শরৎবাবু, যুবরানির মতো কুশীলবদের সঙ্গে।
তামিল কমেডি শো ‘চিন্না পাপা পেরিয়া পাপা’-তেও তাঁর কাজ ভাল লেগেছিল দর্শকদের। সঞ্চালনা এবং অভিনয়, দুই-ই চলছিল তাঁর কেরিয়ারে হাত ধরাধরি করে। অংশ নিয়েছেন রিয়েলিটি শো-এও।
চলতি বছর অগস্টে চিত্রা এনগেজড হন ব্যবসায়ী হেমন্তের সঙ্গে। কয়েক মাস পরেই তাঁদের বিয়ের কথা ছিল। তাঁদের বিবাহিত জীবন দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় হেমন্তের সঙ্গে নিজের ছবিও শেয়ার করতেন চিত্রা।
কিন্তু তাঁদের সেই আশা পূর্ণ হল না। ৯ ডিসেম্বর, বুধবার ভোরে চিত্রাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল চেন্নাইয়ের শহরতলির একটি হোটেলে।
জানা গিয়েছে, ইদানীং শ্যুটিং উপলক্ষে চেন্নাইয়ের শহরতলিতে একটি হোটেলে থাকছিলেন চিত্রা। ওই একই হোটেলে ছিলেন তাঁর প্রেমিক তথা হবু স্বামী হেমন্তও।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ শ্যুটিং সেরে হোটেলে ফেরেন চিত্রা। তার পরেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে হেমন্তর।
পুলিশকে হেমন্ত জানিয়েছেন, হোটেলে ফেরার পরে চিত্রা তাঁকে বলেন, তিনি পোশাক পাল্টে হাতমুখ ধুয়ে দেখা করবেন। কিন্তু এর পর দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যাওয়ায় হেমন্ত যান চিত্রার ঘরে।
অনেক বার ধাক্কা দেওয়ার পরেও চিত্রা দরজা না খোলায় হেমন্তের সন্দেহ হয়। এর পর তিনি হোটেলকর্মীদের কাছে সাহায্য চান। ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে খোলা হয় ঘরের দরজা।
পুলিশকে হেমন্ত এবং উপস্থিত হোটেলকর্মীরা জানিয়েছেন, চিত্রাকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, চিত্রা আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশা তদন্তকারীদের।
চিত্রার অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া বিনোদন জগতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন তাঁর সহকর্মী এবং ভক্তরা। ‘প্রিয় চিতুর’ এ ভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছেন না তাঁরা।