Tanika Basu

অনশন মঞ্চ ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছিল না, বাধ্য হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করি: তানিকা বসু

প্রতিবাদের সঙ্গে কি উৎসবেও শামিল হলেন? তানিকা জানান, কোনও ভাবেই উৎসবে শামিল হওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না তিনি। নেহাৎ বন্ধুদের কথা দিয়ে ফেলেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৮
Share:

তানিকা বসু। ছবি: সংগৃহীত।

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব তানিকা বসু। বর্তমানে অনশনরত চিকিৎসকদের আন্দোলনকেও সমর্থন করছেন তিনি। চাই চলতি বছরের দুর্গোৎসবে কোনও ভাবেই যোগ দিতে পারছেন না অভিনেত্রী। প্রায় প্রতিদিনই চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চের পাশে উপস্থিত থাকছেন তিনি। তবে এই দ্রোহকালের মধ্যে অষ্টমী-নবমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছেন বটে। সেই ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছেন অভিনেতা দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়। বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও সুহত্র মুখোপাধ্যায়ও।

Advertisement

প্রতিবাদের সঙ্গে কি উৎসবেও শামিল হলেন অভিনেত্রী? তানিকা জানান, কোনও ভাবে উৎসবে শামিল হওয়ার কথা ভাবতেও পারছেন না তিনি। নেহাৎ বন্ধুদের কথা দিয়ে ফেলেছিলেন, তাই কিছুটা সময় তাঁদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে তানিকা বলেন, “বেঁচে থাকার জন্য যা যা করণীয়, তা সবই করছি। মানুষ খিদে পেলে খাচ্ছে। কাজ করছে। আর উৎসব তো পাঁচ-ছয় দিনের। আজ আছে, কাল থাকবে না। এর সঙ্গে প্রতিবাদের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই উৎসবের আবহেই মানুষ অনশন মঞ্চে যাচ্ছেন। প্রথমে তেমন লোকজন ছিল না। কিন্তু কাল দেখলাম, বহু মানুষ উৎসবের জন্যই হয়তো সেখানে এসেছেন। অবশেষে এত মানুষ পাশে দাঁড়াচ্ছেন। মানুষ এ বার না হয় এই ভাবেই উৎসব উদ্‌যাপন করুন। আমি কোনও বারই মণ্ডপে ঘুরি না। আর এ বার তো কোনও ভাবেই ভাবেই নিজেকে উৎসবে ফেরানোর কথা ভাবতে পারছি না।”

পুজোর সময় বহু মানুষ শহরে ফেরেন। অথবা সারা বছরের মানসিক ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান। আবার তাঁরা হয়তো আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদেও শামিল। কিন্তু সমাজমাধ্যমে বিষয়টা প্রতিবাদ বনাম উৎসব হয়ে যাচ্ছে না? প্রশ্ন করতেই তানিকা বলেন, “এই আবহে যখন বলা হয়েছিল, ‘উৎসবে ফিরুন’ তখন খুব খারাপ লেগেছিল। আমি এই পুজোতে ধর্মতলা ছাড়া কোথাও যাইনি। একমাত্র গতকাল কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেছি। সারা দিন ধর্মতলায় থাকার পরে রাত ১২টায় দেবপ্রিয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখানেও যাওয়ার যে আমার খুব ইচ্ছে ছিল, তা নয়। কিন্তু আমি কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। প্রতি বছর আমরা সপ্তমী বা অষ্টমীতে একত্র হই। তাই যেতে এক প্রকার বাধ্য। অবশ্যই ওদের সঙ্গেও দেখা করলে ভাল লাগে। কিন্তু কাল আসলে ধর্মতলা থেকে বেরোতেই ইচ্ছে করছিল না। আমার সত্যিই ওখান থেকে চলে যেতে ইচ্ছে করছিল না। আমি কোনও ভাবেই নিজেকে এই প্রতিবাদের আবহ থেকে বিরতি দিতে পারছি না।”

Advertisement

প্রতিবাদীদের, বিশেষত অভিনেত্রীদের নিজের কাজ করতে দেখলে বা অন্য কোথাও দেখলেই নিন্দকদের কটাক্ষ ধেয়ে আসছে। সেই নিয়ে তানিকা বলেন, “আসলে অভিনেত্রীরা ‘সফট টার্গেট’। অনেকে বলছেন আমরা নাকি অনশন মঞ্চে গিয়ে আড্ডা দিচ্ছি, খাওয়া দাওয়া করছি। কিন্তু এক কাপ চাও ওখানে গিয়ে খাইনি। খাওয়ার মতো অবস্থাই নেই ওখানে। কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যাঁরা কটাক্ষ করছেন, তাঁরা একবারও ওখানে যাননি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement