উরফি জাভেদ। ছবি: সংগৃহীত।
টেলিভিশন জগতের অন্যতম চেনামুখ তিনি। তবে তার নেপথ্যে কি স্রেফ পেশাগত কারণ? মোটেই নয়! বিতর্ক তৈরি করায় উরফি জাভেদের জুড়ি মেলা ভার। কখনও নিজের পোশাক নির্বাচনের মাধ্যমে, কখনও আবার নিজের বেফাঁস মন্তব্যের মাধ্যমে কোনও না কোনও বিতর্ক সৃষ্টি করেন উরফি। কখনও তাঁর পরনে পিৎজ়ার টুকরো। কখনও আবার ক্যামেরার সামনে তিনি নিজেকে ঢাকেন সেফটি পিন দিয়ে বানানো পোশাকে। একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সত্ত্বেও সমাজমাধ্যমের সৌজন্যে বেশ জনপ্রিয় মুখ তিনি। যদিও নিজের সাহসের জন্য একাধিক বার বাহবাও পেয়েছেন উরফি। বাড়িতেও কি একই রকম সাহসী তিনি? জবাব দিলেন বিতর্ক-কন্যা নিজেই।
উরফির পোশাক নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে উৎসাহ কম নয়। বিশেষত, প্রতিটি পোশাকের পিছনে যে ভাবনা থাকে তাঁর, তাতেই চোখ আটকে যায় নেটাগরিকদের। বাড়িতেও তো একই ধরনের সাহসী পোশাক পরেন তিনি? সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় এমনই এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন উরফি। টেলিতারকার সোজাসাপটা উত্তর, ‘‘আমি বাড়িতে থাকলে কিছুই পরি না!’’ তবে কি বিবস্ত্র অবস্থাতেই থাকেন তিনি? উরফির সহজ উত্তর, ‘‘হ্যাঁ! আগে আমরা একটা ঘরে আট-দশ জন থাকতাম, এখন আমি একটা তিন কামরার অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছি। আমি বাড়িতেও জামা পরি না, বাইরেও না।’’ তাঁর উত্তর শুনে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেন সঞ্চালিকাও। ন্যূনতম পাজামা ও টিশার্টও কি পরেন না উরফি? টেলিতারকা নিজের সহজাত ভঙ্গিতে উত্তর দেন, ‘‘আমি পাজামা উপরে পরি, আর টিশার্ট নীচে!’’
পোশাক নির্বাচন নিয়ে বরাবর বিতর্কের কেন্দ্রে থাকলেও সেই জনপ্রিয়তাকে ভাঙিয়েই দিব্যি দু’হাতে অর্থ উপার্জন করছেন উরফি। এমনকি, হিসাব করে দেখা গিয়েছে, প্রতি মাসে গুগল কর্তার থেকেও বেশি অঙ্কের টাকা নিজের ঝুলিতে ভরেন তিনি। খবর, প্রতি মাসে প্রায় দু’কোটি টাকা রোজগার করেন উরফি। সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে তো বটেই, পাশাপাশি, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি থেকেও উরফির পকেটে আসে লক্ষ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি দিন প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা উপার্জন হয় তাঁর। বছরের হিসাবে সেই অঙ্ক গিয়ে দাঁড়ায় ২৪ কোটি টাকায়। সেখানে ২০২২ সালে গুগল কর্তা সুন্দর পিচাইয়ের বার্ষিক আয় ছিল ১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গুগল কর্তার চেয়ে অন্তত দেড় গুণ বেশি রোজগার করেন উরফি। এই উপার্জনের অঙ্ক যে পরবর্তী কালে আরও বাড়তে চলেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।