চকোলেট পেস্ট্রি হাতে ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে কী লিখলেন টুইঙ্কল খন্না? ফাইল চিত্র।
কথায় আছে, বয়স কেবল একটি সংখ্যামাত্র! তাতেই নতুন ‘গাণিতিক সমস্যা’ খুঁজে পেলেন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খন্না। তাঁর মতে বলিরেখা তো দেখা দেবেই প্রাকৃতিক নিয়মে। দুঃখ করে লাভ কী! লুকোনোরই বা প্রয়োজন কী? ত্বকের উপর আঁকিবুঁকিগুলিকে জীবনের শংসাপত্র হিসাবে নেওয়াই ভাল। কী ভাবে?
চকোলেট খেতে ভালবাসেন টুইঙ্কল। সম্প্রতি লেখালিখিতে মন দিতে উড়ে গিয়েছেন লন্ডনে। সেখানে প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন আরও ভাল লেখক হওয়ার। তার ফাঁকে চকোলেট পেস্ট্রি হাতে ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখলেন তাঁর নতুন উপলব্ধির কথা। প্রাক্তন অভিনেত্রীর মতে, “বয়স গাণিতিক হিসাব। সংখ্যার নিরিখে বিচার্য। কোনও ভাগফল বা ভাগশেষ নেই এতে। আমরা কোথায় ছিলাম আর কোথায় এসেছি তার বাস্তবতাও ধরা পড়ে না এতে। কাজেই, ভগ্নাংশেরও কারবার নেই। বরং গুণিতক হারে বয়স বাড়ে। চল্লিশে পৌঁছেও দেখা যাবে আপনি সেই ঝুঁটিবাঁধা ছোট্ট মেয়েটিই, যে গাছে চড়তে ভালবাসত, কিংবা ছেলেদের পিটিয়ে ছাতু করত। আর এখন, সংসারের খাঁচায় ছটফট করে চলা বিদ্রোহী এক নারী। কিংবা স্তনভারযুক্ত সদ্য মা, যাঁর স্বপ্নগুলো চাপা পড়ে থাকায় তিনি ফুঁসছেন।”
টুইঙ্কল বোঝাতে চাইছেন, বয়স যেমনই হোক, এক এক মানুষের মানসিক বয়স এক এক রকম। আর ত্বকের বয়স শুধু বাইরের হিসাব। যিনি যত যুদ্ধ করেছেন জীবনব্যাপী, সে সবেরই চিহ্ন ফুটে ওঠে।
তাঁর কথায়, “মনের ভিতরে এত ক্ষত, বিচ্ছেদ-যন্ত্রণার ভার নিয়ে যদি চলা যায়, কয়েকটি বলিরেখা আমরা বইতে পারব না? আমরা যে হারিনি, এ তো তারই ছাপ। কী বলেন?”
টুইঙ্কলের কথায় সায় দিলেন অনুরাগীরা। সহমত হলেন সকলেই। তাঁর দর্শন আলোকপাত করল আরও অনেকের জীবনে।