বাঙালি কি ‘অপু বিলাস’-এ আটকে থাকবে?
অপু-দুর্গা, কাশবন, ট্রেনের বাঁশি। ‘পথের পাঁচালী’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়। বাংলা ও বাঙালির হিয়া এতে আজও ‘নস্টাল’। সত্যজিতের ‘অপু’ ট্রিলজির পরেও তাই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অপুর পাঁচালী’, শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘অভিযাত্রিক’, অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ তৈরি হয়েছে। চলতি বছর কিংবদন্তি পরিচালকের জন্ম শতবর্ষ। ১১ মার্চ মুক্তি পেতে চলেছে সুমন মৈত্রের ‘আমি ও অপু’। ২ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে ছবির ট্রেলার।
বাঙালি কি ‘অপু বিলাস’-এ আটকে থাকবে? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পরিচালকের দাবি, ‘‘কৌশিকদা, শুভ্রজিতের ছবিতে পরিণত অপু জায়গা পেয়েছে। অনীকদার ছবিতে পথের পাঁচালী তৈরির গল্প। কেউ ছোট অপুকে নতুন ভাবে ফিরে দেখার চেষ্টা করেননি। একুশ শতকের অপু কতটা বদলেছে? ট্রেনের বাঁশির শব্দে সে কি দিদি দুর্গাকে নিয়ে আজও দৌড়ে আসে? নাকি মোবাইলেই ডুবে থাকে তার মন! খুব জানতে ইচ্ছে করে।’’ সেই ইচ্ছে থেকেই সুমনের আগামী ছবি। পরিচালকের কথায়, অনুসরণ বা অনুকরণ নয়। নিছক অনুপ্রেরণা থেকেই এই ছবি।
হারানো দিন খুঁজতে গিয়ে সুমন গল্পকে বন্দি করেছেন সাদা-কালো ফ্রেমে। অভিনয়ে ঈশান রানা, প্রকৃতি পূজারি, আনন্দ এস চৌধুরী, সৌমিত্র ঘোষ প্রমুখ। ক্যামেরায় স্মৃতি। গল্পে যাতে কোনও চ্যুতি না ঘটে তার জন্য কোনও গান ব্যবহার করেননি পরিচালক। প্রযোজনায় সুমন নিজেই।