ঋদ্ধি সেন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং ঋষি কৌশিক।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে শিশু-সহ আট জনের আগুনে ঝলসে মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। অভিযোগ, সোমবার তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পরেই রাতে একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রয়েছে তৃণমূলের পাল্টা দাবিও। কী ঘটল, কেন ঘটল, দায় কার— হাজারো চাপানউতোরের পাশাপাশি ঘটনার নৃশংসতায় মুখ খুলেছেন বহু মানুষ। সরব হওয়ার তালিকায় সামিল টলিউডের একাংশও। কেউ মুখ খুলেছেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে। কেউ লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঋষি কৌশিক— রামপুরহাটে যা হয়েছে, খুবই খারাপ হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অভিপ্রেত নয়। আমরা মুখে শান্তি-শৃঙ্খলার কথা বলি। কিন্তু বাস্তবে সে দিকে নজর না দিলে এগুলো হতেই থাকবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্ভবত এটিও রাজনৈতিক হত্যা। প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আনতে তদন্ত জরুরি। শুধুই প্রতিবাদ বা ধিক্কার করে লাভ নেই। বিহিত চাই। এবং সবার মতো আমিও তা-ই চাই। একইসঙ্গে মনে হচ্ছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যেন কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটনা যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘটলেই বিরোধিতা করব। এই ধরনের হিংসা কখনওই কাম্য নয়।
শিলাজিৎ— কোনও রাজনৈতিক দলকে দোষ দেব না। দোষী মানুষ। লজ্জা লাগছে মানুষ হিসেবে।
তুহিনা দাস— আচমকাই যেন মনে হচ্ছে, মানব জীবন বড়ই সস্তা! মানুষ যেন মশা-মাছির মতো মরছে। এই আছে, এই নেই। আজকের দিন কাটলে মনে হয়, কাল থাকব কিনা কে জানে? সামাজিক জীব হিসেবে সমাজে বসবাস করে অবশেষে এটাই আমার উপলব্ধি।
জিতু কমল— ফেসবুক বিপ্লব বন্ধ হোক। দলমত নির্বিশেষে রাস্তায় না নামলে, কিছুদিন বাদে আমার-আপনার বাড়িতেও টিভি বার্স্ট করবে..
ইন্দ্রাশিস আচার্য— এ রকম আরও কত জানোয়ার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বোঝা গেলেও তো কিছু করা যায় না। দাঁত, নখ বার করে তেড়ে আসার ভয়ে চুপ করে বসে থাকতে হয়। নয় নিজেকে ওই রকম হতে হবে। না হলে যে ক'দিন আছি এক কোণে গুটিসুটি মেরে থেকে যেতে হবে। (ফেসবুকে লেখা)
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়— বলে কয়ে পুলিশ যায় হত্যাকারী ধরতে (ফেসবুকে লেখা)
ঋদ্ধি সেন— বাংলায় সন্ত্রাসের চেনা পথ ধরে হাঁটছে তৃণমূল কংগ্রেসও। খুনের ব্যাখ্যা দেওয়ার পুরনো অভ্যেস, অসন্তোষের গলা টিপে মারা, অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে রাজপাট বাড়ানো— সবটাই চেনা ছকে চলছে। একমাত্র পার্থক্য হল— এ পথে তারা হাঁটছে অনেক তাড়াতাড়ি…। (ফেসবুকে লেখা)