Bharat Kaul

Bharat Kaul: মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে দেখছেন, নিজেই দোষীদের শাস্তি দেবেন: ভরত কল

ভরতের বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী ন্যায় বিচার করবেন। দোষীদের কঠোরতম সাজা দেবেন। যা দেখে আগামী দিনে যে কোনও রাজনৈতিক দল এই ঘৃণ্য পথে হাঁটতে ভয় পাবে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ১৬:০৫
Share:

ভরত কল।

‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ভরত কল। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। দিন দুই ধরে রাজ্য রাজনীতি সরব রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে। ভরত সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট দেননি। বিষয়টি নিয়ে এত নীরবতা কেন? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেতার সঙ্গে। কী জবাব দিলেন তিনি? ভরতের কথায়, ‘‘স্টার জলসার রিয়্যালিটি শো ‘ইসমার্ট জোড়ি’ আসছে। সেখানে আমি আছি। টানা ১৪ ঘণ্টা করে রোজ শ্যুট চলছে। ফলে, পুরো ঘটনা ভাল করে জানি না। খবরের কাগজ পড়া হয়নি। তাই পোস্ট বা মন্তব্য কিছুই করিনি।’’

তার পরেই একাধিকার তিনি জানান, বুধবারের সংবাদপত্র পড়ে তিনি জেনেছেন এ দিন দুপুরে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্ট রায় দেবে। সেই রায় জেনে তার পরে তিনি তাঁর বক্তব্য জানাবেন। অর্থাৎ, আদালতের রায় দেখে নিজের মতামত দেবেন অভিনেতা? তখনই ভরতের দাবি, বিষয়টি যেহেতু উচ্চ আদালতের অধীনস্থ তাই তার রায় দেখেই কথা বলা উচিত। পাশাপাশি এও বলেন, এ ভাবে মানুষের মৃত্যু সব সময়েই নিন্দনীয়, দুঃখজনক ঘটনা। এ দিকে, প্রকৃত সত্য জানতে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। তাই পুরোটা না জেনে না বুঝে কোনও কথা বলা তাঁর মতে উচিত নয়।

বিরোধীদের অভিযোগ, গোটা ঘটনার সঙ্গে নাকি শাসকদল যুক্ত। ভরত নিজে শাসকদলের সমর্থক। সেই কারণেই কি এত সাবধানী পদক্ষেপ? অভিনেতার কথায়, ‘‘মানুষের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করার মতো মানসিকতা আমার নেই। ইচ্ছেও নেই। প্রকৃত ঘটনা কী? কেন ঘটেছে? কারা ঘটিয়েছে? এ গুলোর তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি জানি, দোষীরা উপযুক্ত শাস্তিও পাবেন। তার পরেও বলব, সবটা না জেনে কিছু বলা ঠিক নয়।’’

Advertisement

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন। সেই আন্দোলনে যে সব বুদ্ধিজীবী মহল বা বুদ্ধিজীবীরা পথে নেমেছিলেন তাঁদের প্রায় কেউই প্রতিবাদে সামিল নন। হয় তাঁরা বিষয়টি জানেন না। নয়তো তাঁরা কিছুই বলবেন না। এটা কেন? বর্ষীয়ান অভিনেতার মতে, ‘‘বুদ্ধিজীবী’ শব্দটি আমার সঙ্গে যায় কিনা জানি না। তবে নাগরিক হিসেবে আবারও বলব, প্রকৃত ঘটনা আগে সামনে আসা উচিত। তার পর প্রতিবাদে সামিল হওয়া উচিত। তারও আগে আমি মৃত এবং তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ একই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তিনি।

ভরতের কথায়, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়টি দায়িত্ব নিয়ে দেখছেন। অভিনেতার বিশ্বাস, তিনি ন্যায় বিচারই করবেন। দোষীদের কঠোরতম সাজা দেবেন। যা দেখে আগামী দিনে যে কোনও রাজনৈতিক দল এই ঘৃণ্য পথে হাঁটতে ভয় পাবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে কখনওই প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement