এই মুহূর্তে বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করতে চাইছেন রাজনন্দিনী। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সফর শুরু হয়েছিল কিছুটা অন্য পথে। সাধারণত ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে নতুন অভিনেত্রীরা বেছে নেন বাণিজ্যিক ছবি। কিন্তু রাজনন্দিনী পাল বেছে নিয়েছিলেন ‘উড়নচণ্ডী’। তার পর তাঁকে দেখা গিয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিতে। কিন্তু কেরিয়ারে এই মুহূর্তে বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করতে চাইছেন রাজনন্দিনী।
বৃহস্পতিবার ছিল রাজনন্দিনীর মা অর্থাৎ অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী দত্তর জন্মদিন। মায়ের জন্মদিন কী ভাবে পালন করলেন তিনি? রাজনন্দিনী বললেন, ‘‘মায়ের শুটিং ছিল। তার পর বাড়ি ফিরে সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া করলাম।’’ এই মুহূর্তে অতীতের একাধিক কাজ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন রাজনন্দিনী। বলছিলেন, ‘‘বেশ কিছু ছবির অল্পবিস্তর কাজ বাকি আছে। সেগুলোই এখন শেষ করছি।’’ যেমন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর যে ছবিতে রাজনন্দিনী রয়েছেন, সেই ছবির শুটিং এখনও শেষ হয়নি। আগামী মাস থেকে শুরু করবেন নতুন ওয়েব সিরিজ়ের কাজ।
মায়ের জন্মদিন কী ভাবে পালন করলেন তিনি? ছবি: সংগৃহীত।
বিগত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে বেশ কিছু প্রজেক্টে কাজ করেছেন রাজনন্দিনী। গত বছর ‘সম্পূর্ণা’ ওয়েব সিরিজ়েও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু হঠাৎ বাণিজ্যিক ছবির দিকে কেন ঝুঁকছেন অভিনেত্রী? রাজনন্দিনী বললেন, ‘‘কেরিয়ারের শুরুতেই যে হেতু একটু সিরিয়াস চরিত্র বেছে নিয়েছিলাম, তাই অনেকেই ভাবেন যে, আমি হয়তো অন্য ছবিতে স্বচ্ছন্দ নই। তা ছাড়া অনুরাগীদের তরফেও সমাজমাধ্যমে বার বার বাণিজ্যিক ছবি করার অনুরোধ আসে।’’
গত বছর এসকে মুভিজ়ের প্রযোজনায় লন্ডনে বেশ কিছু ছবির শুটিং করেছিলেন রাজনন্দিনী। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘হরনাথদার ছবিতে এই প্রথম আমি গানে নাচলাম, লিপ দিলাম। এটুকু বুঝতে পেরেছি অন্য ধারার ছবির মতো মূল ধারার ছবি করাও ততটাই কঠিন।’’ এই প্রসঙ্গেই বললেন, ‘‘আমি একটু আড়ষ্ট, লাজুক। দু’বছর আগে জিজ্ঞাসা করলেও হয়তো বলতাম পর্দায় নাচতে পারব না। কিন্তু অভিনয় করতে করতে বুঝেছি যে স্টিরিয়োটাইপ ভাঙতেই হবে।’’ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে কোনও গণ্ডির মধ্যে আটকে না রাখাটাই তাঁর অন্যতম লক্ষ্য।
ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। কোথাও কি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন বলেই কি ছক ভাঙার প্রচেষ্টা। রাজনন্দিনী অবশ্য এই বক্তব্য মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বেছে বেছে কাজ করতেই পছন্দ করি। মাঝে অতিমারির জন্য দুটো বছর নষ্ট হয়েছে। অনেকগুলো কাজ অর্ধেক হয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নিজেকে প্রশ্ন করতাম, এর পর কী? তাই কাজের গতি বাড়াতে চাই। এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার কোনও সম্পর্ক নেই।’’