Koushani Mukherjee

জন্মদিনে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেবেন কৌশানী, সঙ্গী ‘দাদা’ মদন! কাকে মিস্ করবেন সবচেয়ে বেশি?

১৭ মে কৌশানীর জন্মদিন। এক দিন আগে থেকেই উৎসব শুরু মুখোপাধ্যায় বাড়িতে। মা ভবতারিণীকে পুজো দিয়ে বিশেষ দিনের সূচনার পরিকল্পনা নায়িকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ ১২:৩০
Share:

কৌশানীর জন্মদিনের উৎসব যেন শুরু হয়ে গিয়েছে এক দিন আগে থেকে। ছবি: সংগৃহীত।

১৭ মে কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। প্রতি বছর জন্মদিনে প্রথমে মন্দিরে পুজো দেওয়া তার পর ভক্তদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো। এটাই তাঁর জন্মদিনের নিয়ম। এ বছর যেন এক দিন আগে থেকে জন্মদিনের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার, দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে নতুন বছরটা শুরু করতে চান নায়িকা। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে ফেলেছেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন তাঁর প্রিয় দাদা তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। দক্ষিণেশ্বরে তাঁর ভাল যোগাযোগ। কিছু দিন আগে নীলষষ্ঠীর দিনও মদনের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে গিয়েছিলেন নায়িকা। তবে সে বার পুজো দেওয়া হয়নি। তাই জন্মদিনের আগে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে গেলেন অভিনেত্রী।

Advertisement

প্রতি বছর পরিবারের কাছের মানুষ এবং বন্ধুদের সঙ্গে এই দিনটা উদ্‌যাপন করেন কৌশানী। এই বছরও কি তেমনই পরিকল্পনা? না কি ১৭ মে অন্য কিছু ভেবে রেখেছেন তিনি? জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় কৌশানীর সঙ্গে। নায়িকা বলেন, “প্রতি বছরই বাড়ির কাছে বেলেঘাটার একটি মন্দিরে পুজো দিই। তবে সে বার নীলষষ্ঠীর সময় গিয়ে দক্ষিণেশ্বরের মা-কে পুজো দেওয়া হয়নি। তাই জন্মদিনের আগের দিনই পুজো দিয়ে আসছি। আর ১৭ মে এত ব্যস্ততায় কাটে তখন ভক্তদেরও সময় কম দেওয়া হয়। সে জন্য এই দিন পুজো দেওয়ার পর অনেকটা সময় আমার অনুরাগীদের সঙ্গে কাটাব। নিজের হাতে ওদের খিচুড়ি , লাবড়া পরিবেশন করে খাওয়াব।”

কৌশানীর জন্মদিনে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। রাত ১২টা থেকেই জন্মদিন উদ্‌যাপন শুরু হয়ে যায়। বান্ধবীর জন্মদিনে সে সব দায়িত্ব বর্তায় নায়কের কাঁধে। এ দিন রাতে শহরের এক হোটেলে সুইট ভাড়া করেছেন তাঁরা। তবে ১৭ মে রাতে ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু বন্ধুকে নিয়েও পার্টির আয়োজন করেছেন তাঁরা। এ বছর বিশেষ কী উপহার পেলেন? কৌশানী বললেন, “প্রতি বারই বাবা গয়না দেয়। এ বছর একটা বিশেষ হিরের আংটি উপহার দিয়েছে। আর আমি নিজেকে একজোড়া হিরের কানের দুল উপহার দিয়েছি। তবে বনিরটা এখনও জানি না, সেটা সারপ্রাইজ়।”

Advertisement

এত আনন্দ, উদ্‌যাপনের মাঝে প্রতি মুহূর্তে এক জন মানুষকেই মিস্ করেন কৌশানী। কয়েক বছর হল মা-কে হারিয়েছেন তিনি। বাবা, মাসি, মেসো ,বনি সবাই মিলে তাঁকে এই দিনটা আনন্দে মুড়িয়ে রাখতে চেষ্টা করেন। তবুও মায়ের হাতের রান্না মনে পড়ে তাঁর। নায়িকা বলেন,“মায়ের হাতের রান্না ছাড়া জন্মদিন কাটছে, সেটা আমি ভাবতেই পারি না। মা যখন অসুস্থ ছিল, তখনও আমার প্রিয় রান্নাগুলো করত। এখন মাসি করে পোলাও, মটন। এ বারে আমার প্রিয় চিংড়ির মালাইকারি রান্না করবে আন্টি (বনির মা)। কিন্তু নিজের মাকে তো মনে পড়বেই। তবে সকলের এত ভালবাসা পেয়ে আমি পরিপূর্ণ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement