সিরিজ় আর সিনেমার ব্যস্ততায় তা হলে সিরিয়ালকে কি বিক্রম ভুলেই গেলেন? ছবি: সংগৃহীত।
ইদানীং কালে তাঁর ঝুলিতে একের পর এক কাজ। একটি ছবির শুটিং শেষ, হয়তো অন্য সিরিজ় মুক্তির অপেক্ষায়। ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের নতুন সিরিজ় ‘রক্তকরবী’। ঝুলিতে আছে ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’, ‘শেষ পাতা’ এ ছাড়াও শীঘ্রই শুরু হবে ‘পারিয়া’র শুটিং। তা হলে কি আন্দাজ করা যায় বিক্রমের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে? সিরিজ়ের প্রচারের ফাঁকে আচমকাই এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা অবশ্য চুপ অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “বৃহস্পতি তুঙ্গে কি না, বলা বেশ কঠিন। ভগবানের দয়ায় বেশ অনেক কাজ আছে। দর্শকের আমার কাজ ভাল লাগলে আশা করি আরও বেশি কাজ করব ভবিষ্যতে।”
আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় থেকে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়— সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমেই অভিনয় জীবনে হাতেখড়ি। যদিও ধীরে ধীরে সকলেরই কাজের ব্যাপ্তি বেড়েছে। সিরিয়ালের গণ্ডি ছাড়িয়ে তাঁরা সকলেই এখন বড় পর্দার হিরো। বিক্রম অভিনীত ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘ইচ্ছে নদী’-সহ একাধিক সিরিয়াল দর্শক মনে এক অন্য জায়গা করে নিয়েছিল। এই সিরিজ় আর সিনেমার ব্যস্ততায় তা হলে সিরিয়ালকে কি বিক্রম ভুলেই গেলেন? তাঁর স্পষ্ট উত্তর, “যেখান থেকে আমার শুরু সেটা কী করে ভুলি?”
যদিও এখন অনেক অভিনেতাদেরই বক্তব্য সিরিয়াল তাঁদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেয়। তাই তো প্রচুর অভিনেতাদের মতে সিরিজ়, সিনেমার দিকে ঝুঁকলেও, পকেটের টান পড়লে সিরিয়াল তাঁদের কাছে একটা ‘সেফ জ়োন’। বিক্রমও কি সহমত? পকেটে টান পড়লে তখন আবার ছোট পর্দার কাজে মন দিতে হবে? আনন্দবাজার অনলাইনকে বিক্রম বলেন, “এটা তো খুব গর্বের বিষয়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এমন একটা অংশ রয়েছে যেখানে ব্যবসায় এতটাই লাভ হয় যে শিল্পীরা তাঁদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক পান। অনেক সময় চরিত্র পছন্দ না হলে এখন আমি না বলে দিই, সেই আত্মবিশ্বাসও এসেছে আমার দীর্ঘ দিন টেলিভিশনে কাজ করা অভিজ্ঞতা থেকে।”
বেশ অনেক দিন যদিও ছোট পর্দা থেকে দূরে বিক্রম। কিন্তু ছোট পর্দা এখনও তাঁর জীবনের অনেকটা জুড়ে। তাই বিক্রম বললেন, “টেলিভিশনকে শুধু আমার টাকা উপার্জনের জায়গা বলে মনে করি না। আমার বিশ্বাস যদি ভাল কাজ করি সেটা সিরিয়াল হোক, সিনেমা কিংবা সিরিজ় সব ক্ষেত্রেই দর্শক আমায় ভালবাসা দেবেন।”