বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চরিত্রে নারায়ণ গোস্বামী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সাধারণত রাজনৈতিক মঞ্চে বা জনসভায় তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত মানুষ। তবে এ বার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে দেখা যাবে নাট্যমঞ্চে। মহালয়ার প্রেক্ষাপটে ‘অশোকনগর প্রতিবিম্ব’ দলের নতুন নাটক ‘নমস্তস্যৈ’। নাটকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন নারায়ণ। অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
তবে নাটকের মঞ্চে অভিনয় কাকতালীয় নয়। নারায়ণ জানালেন, প্রায় দশ বছর আগে এই নাটকের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু সংস্কৃতজ্ঞ এবং চণ্ডীপাঠ করতে পারবেন, এমন ব্যক্তির সন্ধানে ছিলেন তাঁরা। নারায়ণের কথায়, ‘‘সমাজমাধ্যমে আমার চণ্ডীপাঠের একটা ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে আমার কাছে আসেন।’’ কাজের ব্যস্ততায় গত তিন-চার বছর প্রস্তাব ফিরিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ বার রাজি হলেন কেন? নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ।
চলছে ‘নমস্তস্যৈ’ নাটকের মহড়া। ছবি: সংগৃহীত।
বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত স্বরূপনগরে পৈতৃক বাড়ি নারায়ণের। মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়ির দুর্গাপুজোয় প্রথম চণ্ডীপাঠের সূত্রপাত তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করেই কয়েক মাস আগে শুরু করেছেন নাটকের মহড়া। এর আগে অভিনয় বলতে স্কুল এবং কলেজের নাটকে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে মনের মধ্যে কোনও ভয় কাজ করছে? নারায়ণ বললেন, ‘‘ভীষণ ভয় করছে। অশোকনগরের মানুষের কাছেও আমার অভিনয়ের খবর পৌঁছে গিয়েছে। আগে আমি নারায়ণ গোস্বামী হয়ে স্তোত্রপাঠ করেছি। কিন্তু এ বার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে স্তোত্র বলতে হবে।’’
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অ্যাকাডেমিতে পার্থসারথি রাহা নির্দেশিত ‘নমস্তস্যৈ’-এর প্রিমিয়ার শো। ২ অক্টোবর মহালয়ায় রবীন্দ্রসদনে নাটকের প্রথম শো।