সোহম চক্রবর্তী। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সমাজমাধ্যমে ১৩ অগস্ট মুখ খোলেন শাসকদলের সাংসদ-অভিনেতা দেব। মৃত তরুণী চিকিৎসক এবং তাঁর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন দেব। পাশাপাশি, তাঁর পুজোর ছবি ‘খাদান’-এর প্রথম ঝলক মুক্তি পিছিয়ে দেন অভিনেতা। ঠিক তার পরের দিন, ১৪ অগস্ট শাসকদলের বিধায়ক ও অভিনেতা সোহম নিজের বক্তব্য লিখে জানালেন সমাজমাধ্যমে। আরজি কর-কাণ্ডে মৃত তরুণী চিকিৎসককে ‘বোন’ সম্বোধন করে তাঁর বার্তা, “বয়সে আমার থেকে অনেকটা ছোট ও। তাই দাদা হিসাবে চাই ওর বিচার হোক। বোনের পরিবারের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
‘প্রধান’ ছবিতে দেবের অধীনস্থ পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সোহম। পর্দার মতোই বাস্তবেও কি দেবকেই অনুসরণ করলেন সোহম? তাঁর কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। এই মুহূর্তে বিধায়ক-অভিনেতা তাঁর আগামী ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। তারই ফাঁকে বলেছেন, “১৪ অগস্টের মধ্যরাত প্রতি বছর দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৭ সালে ১৪ অগস্টের মধ্যরাতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এ বছর সেই রাত আরও গুরুত্বপূর্ণ। ‘মেয়েরা, রাত দখল করো’-এর কারণে। তাকে সমর্থন জানিয়েই আমার এই বার্তা।”
সমাজমাধ্যমেও সে কথা লিখেছেন সোহম, “লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে কলকাতার একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমিও চাই, বিচার হোক। যা সত্যি তা সকলের সামনে আসুক। যার যে রকম প্রতিবাদের ভাষা, সে ভাবেই যেন প্রতিবাদ করে। কোনও মহিলার উপরে এ রকম জঘন্য অপরাধ করার কথা আর যেন কখনও কেউ ভাবতে না পারে।” এখানেই থামেননি তিনি। সোহম বলেছেন, “এই সমর্থন এক দিনের নয়। যত দিন না বিচার পাচ্ছেন, তত দিন বাকিদের মতো আমিও আমার বোনের পাশে থাকব।”
‘প্রধান’ ছবিতে সোহমকে দর্শক সৎ পুলিশ আধিকারিকের চরিত্রে দেখেছে। বাস্তবে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় কতটা খুশি বিধায়ক-অভিনেতা? জবাবে সোহম বললেন, “কলকাতা পুলিশের তৎপরতাতেই কিন্তু ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না সেটাও যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে দেখছে প্রশাসন।” তাঁর আরও দাবি, দিল্লির সঙ্গে শহর কলকাতার এখনও অনেক ফারাক। বললেন, “এখনও শহরের এই মেয়েরা কাজের শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন। তা সম্ভব হয়েছে কলকাতা পুলিশের জন্যই।”