১৯৯১ সাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন সুনীল শেট্টি। ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০ বছর পূর্ণ করেছেন। অথচ এখনও তাঁর নামের সঙ্গে কোনও বিতর্ক জড়িয়ে যায়নি।
ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও নিজেকে এত পরিষ্কার খুব কম অভিনেতা বা অভিনেত্রীই রাখতে পারেন। এখনও পর্যন্ত সুনীল সেটাই করে দেখিয়েছেন।
তবে এক বার এক পরিচালকের উপর ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বেগতিক বুঝে পরে আবার সুনীলের হাতেপায়ে ধরতে হয়েছিল সেই পরিচালককেই।
এই ঘটনা সে সময়ের, তখন সুনীল ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন। সমালোচকদের দেখিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অ্যাকশন, রোম্যান্টিক, কমেডি এবং নেগেটিভ চরিত্রেও সমান পারদর্শী।
‘হেরা ফেরি’ এবং ‘ধড়কন’-এর মতো হিট ফিল্মে তখন অভিনয় করছিলেন তিনি। অন্য দিকে এ সময় স্টান্ট ডিরেক্টর থেকে টিনু বর্মার ফিল্ম পরিচালনায় হাতেখড়ি ঘটছিল।
‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘লোফার’, ‘গদর’-এর মতো হিট ফিল্মে তিনি স্টান্ট ডিরেক্টর ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি একটি ফিল্ম পরিচালনা করেন এবং সেই ছবিতে প্রথমে নায়কের চরিত্রে সুনীলকে প্রস্তাব দেন।
সুনীল শেট্টির নামও ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তার পরে অনেক বদল আনেন তিনি ফিল্মে। সবচেয়ে বড় বদল ছিল, সুনীলের পরিবর্তে ফিল্মে সানি দেওলকে নেওয়া।
ফিল্ম থেকে সুনীলের নাম পুরোপুরি বাদ দেননি টিনু। সাপোর্টিং অভিনেতা হিসাবে তাঁকে রাখা হয়েছিল। এতে চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট হন সুনীল।
ছবিটি থেকেই সরে আসেন সুনীল। যার জন্য মিডিয়ায় সুনীলের নামে কুমন্তব্য করেন পরিচালক টিনু। সুনীল অবশ্য টিনুকে পাল্টা আক্রমণ করে কোনও কথা বলেননি তখন।
ওই ফিল্মটি ছিল ‘মা তুঝে সলাম’। সুনীল বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর জায়গায় সাপোর্টিং চরিত্রে আরবাজ খানকে নেওয়া হয়।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর সানি দেওলও পরিচালক টিনুর উপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। কারণ, সানিকে নাকি ঠিকঠাক পারিশ্রমিকই দেননি টিনু।
এর পরের বছর আরও একটি ফিল্ম পরিচালনা করছিলেন টিনু। নাম ছিল ‘বাজ: আ বার্ড ইন ডেঞ্জার’। এর জন্যও টিনুর প্রথম পছন্দ ছিলেন সানি। কিন্তু সানি তাঁর সঙ্গে আর কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলেন না।
তাই বাধ্য হয়েই তিনি ফের সুনীলের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান। সুনীল প্রথমে তাঁর সঙ্গে দেখাই করতে চাননি।
টিনু তাঁর কৃতকর্মের জন্য এক প্রকার সুনীলের হাতেপায়ে ধরে ক্ষমা চান এবং তার পরই সুনীল এই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হন।