আট এবং নয়েক দশকে বলিউড ফিল্ম মূলত নায়ক নির্ভর ছিল। ফিল্মের মুখ্য আকর্ষণ ছিল নায়কের ভূমিকা। কিন্তু সেই সময়েও পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে কমেডিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন টিকু তালসানিয়া।
হিন্দি ফিল্মের কমেডিয়ান হিসাবেই পরিচিত তিনি। ৩৪ বছরের কেরিয়ারে একই উচ্চতায় বিরাজ করে চলেছেন তিনি।
দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও রকম বিতর্কে না জড়িয়ে শুধু মাত্র অভিনয়ের জোরে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত দুশোরও বেশি ফিল্মে তিনি নিজের অভিনয় পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। থিয়েটারের মঞ্চে তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকেরা।
টিকুর অভিনয় যাত্রা শুরু যখন তিনি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তেন তখন থেকেই। স্কুলের নাটক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তখন থেকেই।
প্রতি বারই দর্শকাসন থেকে উড়ে আসত প্রশংসা। আর সেই প্রশংসাই তাঁর বলিউড যাত্রার রাস্তা গড়ে দিয়েছিল।
স্কুল পাশ করার পর তিনি মুম্বইয়ে এক গুজরাতি থিয়েটার গ্রুপে যোগ দেন। মুম্বইয়ের পাশাপাশি আমেরিকা এবং ইউরোপের নানা দেশে নাটক করে বেড়াতেন তিনি।
এক দিন থিয়েটার করার সময় টিকুর অভিনয় দেখে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করেন পরিচালক কুন্দন শাহ। দূরদর্শনে সম্প্রচারিত ‘ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগি’-তে সুযোগ পান টিকু।
সেখান থেকেই তাঁর ফিল্মে আসা। ১৯৮৬ সালে তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘প্যায়ার কে দো পল’। ফিল্মের পাশাপাশি প্রচুর টিভি সিরিয়ালেও তিনি অভিনয় করেছেন।
এ ছাড়া ‘রাজা হিন্দুস্তানি‘, ‘হিরো নম্বর ১’, ‘প্যায়ার তো হোনা হি থা’, ‘দেবদাস’, ‘ঢোল’, ‘স্পেশ্যাল ২৬’-সহ প্রচুর ফিল্ম তিনি করেছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি কমেডিয়ান হয়েছেন।
কোনও ফিল্ম ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া ৩৪ বছর ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে একই ভাবে টিকে রয়েছেন।
তাঁর মেয়ে শিখা তালসানিয়াও এক জন অভিনেত্রী। ২০০৯ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘ওয়েক আপ সিড’। এর পর আরও কয়েকটি ফিল্মে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বাবা ফিল্ম ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই উচ্চতার শিখরে পৌঁছেছেন। মেয়ে শিখা পাশে পেয়েছেন বাবাকে। কিন্তু কেরিয়ারে বাবার সাহায্য চান না শিখা।
বাবার মতো নিজের অভিনয়ের জোরেই কেরিয়ারে সফল হতে চান তিনি।