‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ নাটকের মহড়ায় গৌতম হালদার। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝে কেটেছে প্রায় ২৫ বছর। আরও এক বার জসীম উদ্দীনের জনপ্রিয় কাব্য ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’কে মঞ্চে ফিরিয়ে আনছেন নির্দেশক গৌতম হালদার। ‘নয়ে নাটুয়া’র ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
নাটকের শেষ মুহূর্তের মহড়ার মধ্যে পাওয়া গেল গৌতমকে। সোজন এবং দুলিকে কেন্দ্র করে ফিরে গেলেন শৈশবের স্মৃতিতে। বললেন, ‘‘ছোটবেলায় এক আত্মীয়ের থেকে উপহার পাওয়া কাব্যটা পড়ে তখন খুব একটা বুঝতে পারিনি। কিন্তু তিন দশক আগে পড়ে বুঝতে পারি তার অন্তর্নিহিত অর্থ। সেই ভাবনা থেকেই এক সময়ে ‘নান্দীকার’-এ ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ নাটকটা মঞ্চস্থ করি।’’ সেই সময়ে নাটকে সোজন এবং দুলির চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে গৌতম এবং সোহিনী সেনগুপ্ত। সামগ্রিক পরিকল্পনায় ছিলেন গৌতম নিজেই। গৌতম বললেন, ‘‘রুদ্রবাবু (রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত) নিজে নায়েবের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সোমবার আমাদের প্রথম শো দেখতে রুদ্রবাবু নিজে আসছেন। এটা আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি।’’
‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ নাটকের মহড়া। ছবি: সংগৃহীত।
এই নাটকের প্রেক্ষাপটে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক। গৌতম মনে করেন, এই সোজন এবং দুলির আখ্যান আজও সমাজে সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। তাই বর্তমান সময়ের কথা মাথায় রেখেও ফিরে আসছে এই নাটক। তাঁর কথায়, ‘‘সমসময়ে এমন একাধিক ঘটনা আমরা দেখেছি। আমার তো মনে হয়, এই গল্প এখনও দর্শকের মন জয় করে নেবে।’’ পাশাপাশি জানালেন, দর্শকের থেকেও এই নাটক নিয়ে বহু বার তাঁর কাছে অনুরোধ এসেছে। এ বারে গৌতম নাটকে একাধিক পরিবর্তন করেছেন। সোজন-দুলির ছোটবেলা যেমন থাকছে, তেমনই অভিনয়ে শরীরী ছন্দের উপর জোর দেওয়া এবং নাটকে সঙ্গীতের ধরনও বদলেছেন তিনি ।
এ বারে নাটকে সোজনের চরিত্রে রয়েছেন গৌতম এবং দুলির চরিত্রে রয়েছেন দ্যুতি হালদার। দুই ভিন্ন সময়ে একই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে মনের মধ্যে কী চলছে গৌতমের? হেসে বললেন, ‘‘থিয়েটারই তো আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। নাটকে এ বারেও লাঠি খেলব।’’ সোমবার অ্যাকাডেমিতে ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’-এর প্রথম শো। গৌতম জানালেন, আগামী দিনে নাটকটির আরও কয়েকটি শোয়ের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।