ছোট পর্দার তারকা। জনপ্রিয় ধারাবাহিকের প্রধান মুখ। নামডাক হোক বা অর্থ, কোনও কিছুরই অভাব ছিল না। কিন্তু সে সবের মায়া ত্যাগ করে সুশান্ত সিংহ রাজপুত বড় পর্দার নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন সত্যিও করেছিলেন।
২০১৩ সালে ‘কাই পো চে’ দিয়ে বলিউডে তাঁর যাত্রা শুরু। এর পর ‘এম এস ধোনি’, ‘সোনচিড়িয়া’, ‘ছিছোরে’-র মতো একাধিক ছবি দিয়ে দর্শক-মনে জায়গা করে নেন পাকাপাকি ভাবে।
বেশ কিছু বড় বাজেটের ছবিতে কাজের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু নানা কারণে শেষমেশ সেই ছবিগুলিতে দেখা যায়নি তাঁকে। অভিনেতার ৩৬তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
রামলীলা: ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রণবীর সিংহ এবং দীপিকা পাড়ুকোন। বলা হয়, ‘রামলীলা’ থেকেই তাঁদের প্রেম পর্ব শুরু হয়। কিন্তু ‘রাম’ হিসেবে পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর প্রথম পছন্দ ছিলেন সুশান্ত। কিন্তু সময়ের অভাবে এবং যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার কারণে এই ছবি করতে পারেননি তিনি।
হাফ গার্লফ্রেন্ড: চেতন ভগতের গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ডাক পেয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু সেই সময় অন্য একটি ছবির চুক্তি সই করে ফেলেছিলেন অভিনেতা। ফলে ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এ কাজের সুযোগ ছাড়তে হয় তাঁকে।
রোমিও আকবর ওয়াল্টার: এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু ফের সময়ের অভাবে সরে যান তিনি। সুশান্তের পরিবর্তে জন আব্রাহামকে নিয়ে তৈরি হয় ছবি।
ফিতুর: অভিষেক কপূরের ছবি দিয়ে বলিউডে হাতেখড়ি। তাঁর ‘ফিতুর’-এও কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু শেখর কপূরের ‘পানি’-র জন্য এই ছবি ছাড়তে হয় তাঁকে। দু’টি ছবির শ্যুট শুরু হওয়ার কথা ছিল প্রায় একই সময়ে। তাই ‘মেন্টর’ অভিষেকের ছবি থেকে সরে দাঁড়ান সুশান্ত।
সারে জাহা সে অচ্ছা: শাহরুখ খান, আমির খানদের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সুশান্ত। রাজিও হয়েছিলেন অভিনেতা। ছবির জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর ভিকিকে নিয়ে এই ছবি তৈরির পরিকল্পনা করছেন নির্মাতারা।
বেফিকরে: রণবীর সিংহ নন, এই ছবির জন্য আদিত্য চোপড়ার প্রথম পছন্দ ছিলেন সুশান্ত। কিন্তু শেষমেশ এই ছবিতে দেখা যায়নি পর্দার ‘এম এস ধোনি’কে।
নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতেন সুশান্ত। ভালবাসতেন নতুন ধরনের কাজ করতে। কিন্তু ২০২০ সালের ১৪ জুন আচমকাই থমকে যায় তাঁর পথ চলা। ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’-এর হাঁকডাক, শ্যুটিং ফ্লোরের ব্যস্ততা। এ সব কিছু থেকে বহু দূরে চলে যান সুশান্ত। তিনি থাকলে আর কী কী ছবি উপহার পেত বলিউড? এই প্রশ্ন এখনও ভাবায় অনেককেই।