অক্ষয় কুমার: বলিউডে আসার আগে ব্যাঙ্ককে মার্শাল আর্টসের ট্রেনিং নিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। রেস্তোরাঁর সেফ হিসাবে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। ট্রেনার হিসাবে শুরু করেছিলেন কর্ম জীবন। কিন্তু, বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেননি অক্কি। নেশার টানে ছেড়েছিলেন ব্যাঙ্ককের সফল কেরিয়ার।
আমিশা পটেল: অর্থনীতির স্নাতক আমিশা পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছিলেন। গোল্ড মেডেল নিয়ে কলেজ পাশ করে ইকোনমিক অ্যানালিসিস্টের কাজ করতেন আমিশা। কিন্তু অভিনয়ের জন্য ছেড়েছিলেন সফল পেশাও। বাবার বন্ধু পরিচালক রাকেশ রোশনের হাত ধরে সুপার ডুপার হিট ছবি ‘কহ না প্যার হ্যায়’-এ প্রথম আত্মপ্রকাশ বলিউডে। আর ফিরে যাননি পুরনো পেশায়।
অমিতাভ বচ্চন: বলিউডের শাহেনশা তিনি। প্রায় পাঁচ দশকের অভিনয় জীবন। কিন্তু কর্মজীবনের শুরুতে রেডিও জকি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন বিগ-বি। যদিও ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ তাঁর কণ্ঠস্বর প্রত্যাখ্যান করে। কলকাতার একটি শিপিং কোম্পানিতেও দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন অমিতাভ। পরে অভিনয়ের নেশাকেই পেশাতে পরিণত করেন তিনি।
দীপিকা পাড়ুকোন: বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যাডমিন্টন খেলোয়া়ড়। ছোট থেকেই খেলার আবহে ব়ড় হয়ে ওঠা দীপিকাও ব্যাডমিন্টনে যথেষ্ট চৌখস। কিন্তু নেশা অভিনয়ের টানে খেলাকে খুব একটা আমল দেননি কোনও দিনই।
পরিণীতি চোপড়া: পড়াশোনায় বরাবরই ছিলেন প্রথম সারিতে। কলেজের পাঠ চুকিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের মার্কেটিং বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘ইশাকজদে’র নায়িকা। অভিনয়ের জন্য পরে ছেড়ে দেন সফল কেরিয়ার।
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি: বাড়িতে আট ভাই বোন। পেটের তাগিদে কেমিস্টের কাজ করতেন নওয়াজউদ্দিন। কর্মসূত্রে দিল্লিতে আসার পর থেকেই থিয়েটারের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। মঞ্চেই হাতেখড়ি। কিন্তু প্রতিভা চিনতে ভুল হয়নি বলিউডের। অভিনয়ের নেশায় কেমিস্টের পেশাকে তাই গুড বাই বলেছেন নওয়াজ।
সিদ্ধার্থ মালহোত্র: সফল মডেল হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সিদ্ধার্থ। শুধু তাই নয়, ‘মাই নেম ইজ খান’-এ কর্ণ জোহরকে অ্যাসিস্টও করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের নেশায় মডেলিং হোক বা ডিরেক্টর সমস্ত পেশাকেই গুড বাই বলেছেন সিদ্ধার্থ।
সোনাক্ষী সিনহা: কস্টিউম ডিজাইনার হিসাবে ভালই জনপ্রিয় হয়েছিলেন সোনাক্ষী। ২০০৫-এ ‘মেরে দিল লেকে দেখো’ ছবির পোশাক ডিজাইনার ছিলেন দাবাং গার্ল। কিন্তু অভিনয়ের জন্য ছেড়ে দেন সেই পেশাও।
রণবীর সিংহ: বলিউডে আসার আগে একটি বিজ্ঞাপন প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কপি রাইটার হিসাবে কাজ করতেন রণবীর। কিন্তু পরে অভিনয়ের জন্য এই কাজ ছেড়ে দেন তিনি।
বোমান ইরানি: নিজেদের পৈতৃক বেকারির ব্যবসা ছিল তাঁদের। মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে রুম সার্ভিসের কাজও করেছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ভাইরাস। কিন্তু নেশা ছিল অভিনয়ের। মঞ্চে প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি। নেশার টানে বলিউডে পা দিতে বেশি সময় নেননি।