একেবারে জলে পড়া থেকে আটকানো যাকে বলে... ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকা ডিসি কমিকসের ছবিগুলোকে প্রায় উদ্ধারই করল অ্যাকোয়াম্যান।
জেমস ওয়্যানের ‘অ্যাকোয়াম্যান’ যথার্থ অর্থে ভিস্যুয়াল ট্রিট! এত দিন সব লড়াই পৃথিবী, নয়তো অন্তরীক্ষে বা ভিন গ্রহে হয়েছে। এ বারের লড়াই জলের তলায়। সে দুনিয়া দর্শকের চোখে এখনও নতুন। ছোটবেলার ফ্যান্টাসিগুলো চোখের সামনে দেখাটাও অভিজ্ঞতা! কিন্তু সুপারহিরো ছবির দোষ এখানেও আছে। সত্তর-আশির দশকের বলিউডের ক্লিশে প্লটগুলো মনে করায় এ ছবি। তবে যে চোখ ধাঁধানো দুনিয়ার ছবি নির্মাতারা দেখিয়েছেন, তার জন্য অনেক ভুলই ক্ষমা করে দেওয়া যায়।
এটা যেহেতু সিরিজ়ের প্রথম গল্প, তাই অ্যাকোয়াম্যান ওরফে আর্থারের ইতিহাস জানোনোটা জরুরি ছিল। লাইটহাউসের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী উদ্ধার করে জলের সাম্রাজ্য আটলান্টার রাজকন্যাকে। সেই রাজকন্যা ডাঙাতেই সংসার পাতে। কিন্তু আর্থারের জন্মের কিছু বছর পরে তার মা’কে ফিরে যেতে হয় জলের দুনিয়ায়। সেই সাম্রাজ্যের নিয়ম আবার আলাদা। একটা সময়ে আর্থার তার সৎ ভাই অর্ম মুখোমুখি হয়। জল-সাম্রাজ্য কার দখলে থাকবে, সেই প্রশ্নে। এই গল্পের তলায় তলায় সিকুয়েল নিয়ে আসার প্রস্তুতিও রয়েছে। যা মাটি বনাম জলের লড়াই, সেখানে একমাত্র যোগসূত্র আর্থার।
‘ব্যাটম্যান ভার্সাস সুপারম্যান’ বা ‘জাস্টিস লিগ’এ আর্থারের ক্যারিশমার স্রেফ ঝলক ছিল। এ ছবিতে তা ভরপুর। জলের রাজা হিসেবেই নয়, আর্থার আলাদা অন্য কারণেও। কোন সুপারহিরো স্বীকার করবে সে তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী নয়! স্ট্যান্ড অ্যালোন সুপারহিরো হিসেবে অ্যাকোয়াম্যান জায়গা করে নিলে তার কৃতিত্ব জেসন মোমোয়ার প্রাপ্য। ‘গেম অব থ্রোনস’এর খাল দ্রোগো এখানেও হিট।
অ্যাকোয়াম্যান
পরিচালনা: জেমস ওয়্যান
অভিনয়: জেসন মোমোয়া, অ্যাম্বার হার্ড, নিকোল কিডম্যান
৬/১০
মার্ভেলের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়া ডিসি-কে টেনে তুলেছিল ওয়ান্ডার ওম্যান। সেই কাজে সঙ্গত দেওয়ার উপাদান রয়েছে অ্যাকোয়াম্যানের মধ্যে।