বিশ্বাবসু ও অর্কজা (বাঁদিকে)। দিয়া ও শুভ্রজিৎ (ডানদিকে).
টলিপাড়ায় গৌরব-দেবলীনার বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ পরিবারে প্রেমের আভাস।
শুক্রবার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ প্রথম বার রানি রাসমণি পরিবার একসঙ্গে। রানিমা দিতিপ্রিয়া রায় এই প্রথম মুখোমুখি হলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর। আড্ডার ছলে সকলের প্রেম ও সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠল সেখানে। কেউ বা সে বিষয়ে মন খুলে কথা বললেন, কেউ বা কিছু এড়িয়ে গেলেন।
নাতজামাই অমিতাভ দাস তাঁর বিবাহিত জীবনের কথা বললেন। দু’বছর আগে তাঁদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়। নিজে নাকি পড়াশোনায় বেশ কাঁচা ছিলেন। খেলাধুলোতেই মন লাগত বেশি। সে রকম এক মানুষের জীবনে এলেন সহকারী অধ্যাপিকা! সিঙ্গুর কলেজে পড়ান।
কিন্তু রানিমার নাতি বিশ্বাবসু বিশ্বাস ও মেয়ে দিয়া চক্রবর্তী যেন কিছু বলতে গিয়েও বললেন না। তবে সোশ্যাল মিডিয়া হাতড়ালে সবই সামনে চলে আসে। আর তাতেই উঠে এল কিছু তথ্য। সে বিষয়েই কথা হল বিশ্বাবসু ও দিয়ার সঙ্গে।
‘দিদি নম্বর ওয়ান’ থেকে এ কথা তো স্পষ্ট যে তাঁর জীবনে প্রেম আছে। তিনি কি এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ? কী তাঁর নাম? তার উপরে রানিমা দিতিপ্রিয়াও জানালেন, বিশ্বাবসুর প্রেমিকা তাঁরই স্কুলের সিনিয়র। বিশ্বাবসুর জবাব: ‘‘বিষয়টা অনেকটা হ্যারি পটারের ভল্ডেমর্টের মতো। নাম নেওয়া যাবে না। প্রথম প্রশ্নের উত্তরটিও আমি এখন দিতে পারব না। তবে হ্যাঁ, তার অস্তিত্ব আছে বটে।’’ বিশ্বাবসু বলেন, ‘‘যাদবপুরে একসঙ্গে বাংলা নিয়ে পড়েছি আমরা। আমার জুনিয়র। নাটকের দল তৈরি করি কয়েক জন বন্ধু মিলে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। চার বছর পরে ‘লিখিত’ ভাবে প্রেম। সম্পর্কের বয়স প্রায় দুই।’’
‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ প্রথম বার রানি রাসমণি পরিবার একসঙ্গে
কিন্তু তাঁর প্রেমিকার নাম কেন নেওয়া যাবে না? সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বাবসুর প্রেমিকার নাম অর্কজা আচার্য। স্টার জলসার ‘ওগো নিরুপমা’ সিরিয়ালের নায়িকা। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে অর্কজা আচার্য ও বিশ্বাবসুর একসঙ্গে ছবিও রয়েছে। বস্তুত, অর্কজা আচার্যর সঙ্গে চ্যানেলের একটি চুক্তি হয়েছে। যার জন্য তিনি নিজের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছেন। সিরিয়ালে তাঁকে যে রূপে দেখা যাচ্ছে, সেটি তাঁর আসল চেহারা নয়। আর সেই কারণে সিরিয়ালে নিরূপমা চরিত্রের মেকওভার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাবসু ও অর্কজা নিজেদের প্রেমের কথা সামনে আনতে পারছেন না।
দিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিনিও প্রেমিকের নাম জানাতে ইচ্ছুক নন। সবথেকে বড় কথা, তিনি সম্পর্কটিকে ‘প্রেম’ না বলে ‘গভীর বন্ধুত্ব’ বলতেই বেশি পছন্দ করেন। তাঁর কথায়: ‘‘প্রেম না বলে যদি বলা যায়, বন্ধুত্বের থেকে আর একটু বেশি কিছু, তা হলে এই সময়ে দাঁড়িয়ে তা বেশি প্রযোজ্য বলে আমার মনে হয়।’’
কেন? তিনি তো তাঁকে বিশেষ চোখেই দেখেন, তবে? দিয়ার কথায়: ‘‘আমরা আসলে খুব ভাল বন্ধু। দেড় বছরে সেটা এতটাই জোরালো হয়ে যায় যে আলাদা করে প্রেমের নাম দিতে চাই না। আমরা আলাদা করে দেখাই করি না প্রায়। সব সময়ে বন্ধুরা একসঙ্গে।’’
আরও খবর: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কোরিওগ্রাফার রেমো ডি’সুজা
‘দিদি নম্বর ওয়ান’ থেকে জানা গেল, তাঁর বিশেষ বন্ধুও ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ। ‘রানি রাসমণি’ সিরিয়ালেই অভিনয় করতেন। তাঁদের এই অন্য রকম বন্ধুত্বের যাত্রার শুরুটা কী রকম?
‘‘আমরা সহকর্মী ছিলাম। কিন্তু কখনওই খুব একটা আড্ডা মারতাম না আমি। শ্যুট করি, বাড়ি চলে আসি। এক বার গৌরবদার জন্মদিনের পার্টিতে রাসমণির গোটা পরিবার গিয়েছিলাম। ওই দিন পরিচয়টা বাড়ে। আড্ডা হয়। সে দিন থেকে কথাবার্তা শুরু। আমরা বুঝতে পারি, আমাদের পছন্দ-অপছন্দটা এক ধরনের। আমাদের বন্ধুত্বই আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করে তুলেছে।’’
আরও খবর: বৈদিক মতে বিয়ে সেরেছেন গৌরব-দেবলীনা, রইল অনুষ্ঠানের কিছু না দেখা মুহূর্ত
দিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খুললেই তাঁর ‘বিশেষ বন্ধু’ সম্পর্কে একটি ধারণা করা যায়। রাসমণি সিরিয়ালের যদুনাথ চরিত্রে অভিনয় করতেন শুভ্রজিৎ সাহা। যিনি এখন অন্য সিরিয়ালে কাজ করতে চলেছেন। দিয়ার প্রোফাইলে শুভ্রজিৎ ও দিয়ার ছবি ভর্তি। সঙ্গে দিয়ার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তাঁদের খুব সুন্দর কিছু মুহূর্তের ভিডিয়ো রয়েছে।