অমিত কুমার-প্যায়ারেলাল-কবিতা কৃষ্ণমূর্তি
‘চোলি কে পিছে’ নাকি ‘জুম্মা চুম্মা দে দে’? কম্পিউটারে রেকর্ডিং নয়, সরাসরি বলিউড শিল্পীদের কণ্ঠে! অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই শ্রোতাদের পছন্দের গান শোনাবেন তাঁরা। সাত বা আটের দশকের শ্রোতা? ‘ড্রিমগার্ল’, ‘ডাফলিওয়ালে’ অথবা ‘চিট্ঠি আয়ি হ্যায়’-এর মতো গানের অনুরোধ জানালেই হল! লক্ষ্মীকান্ত নেই। কিন্তু প্যায়ারেলাল তো আছেন!
প্যায়ারেলালের ঝুলিতে আছে এই কালজয়ী জুটির সুর দেওয়া জনপ্রিয় সব গান। আর তার হাত ধরেই ২৫ বছর পরে ফিরে আসছেন জনপ্রিয় সুরকার। প্রয়াত সঙ্গীর স্মৃতি নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর গান-সফরে থাকছেন অমিত কুমার, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, সাধনা সরগম, সুদেশ ভোঁসলের মতো ২০ জন কিংবদন্তি শিল্পীরা।
সাত থেকে নয়ের দশক কার্যত দখলে রেখেছিলেন এই দুই সঙ্গীত পরিচালক। আড়াই দশক পেরিয়েও তাঁদের গান আজও পুজো মণ্ডপ থেকে নানা উদযাপনে প্রথম বাছাই। সেই গানই এ বার লাইভ-মিউজিকের কনসার্টে। নতুন বছরের মে-জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ছ’টি প্রথম সারির শহরে বসবে এই গানের আসর। আয়োজক 'প্রিয়া হায়দার প্রোডাকশন' এবং 'স্প্লেনডিড গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট ইঙ্ক'। সৌজন্যে প্রিয়া হায়দার এবং মেহবুব হায়দার। গত ৩০ বছর ধরে দেশে-বিদেশে এ ভাবে গান-সন্ধ্যার আয়োজন করে আসছেন তাঁরা।
ফিরছেন প্যায়ারেলাল। কী বলছেন দুই উদ্যোক্তা? প্রিয়া-মেহবুবের বক্তব্য, অতিমারির ধাক্কা পেরিয়ে বহু দিন পরে ফের শ্রোতাদের গানে ফেরাবেন। সেটাই তাঁদের তৃপ্তি। দর্শক-শ্রোতারা খুশি হলেই পরিশ্রম সার্থক। তাঁদের দাবি, তিন দশকের সেতুবন্ধন সহজ কথা নয়। করোনায় কাবু, বিষণ্ণ পৃথিবীর বুকে সুরের মায়া ছড়িয়ে দিতেই এই কঠিন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তাঁরা। খুশি জীবন্ত কিংবদন্তি প্যায়ারেলাল নিজেও। জানিয়েছেন, বহু বছর পরে আবার গান নিয়ে, সুর নিয়ে এই বিশ্ব পরিক্রমা। নতুন করে যেন লক্ষ্মীকান্তের অভাব বোধ করছেন তাঁর একদা অবিচ্ছিন্ন সঙ্গী।