webseries

Duware Bouma: শ্রুতির মতো ‘কৃষ্ণকলি’দের পাশে সঞ্জয়, ফর্সা-কালোর দ্বন্দ্ব মুছতে ‘দুয়ারে বৌমা’

‘‘যাঁরা গায়ের রং নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করেন, তাঁরা কিন্তু প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেন না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০৫
Share:

বর্ণ বৈষম্যবাদীরা সাবধান! আসছে ‘দুয়ারে বৌমা’

অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। ডাগর চোখের মেয়েটি কোমর ছাপানো এক ঢাল চুলের মালকিন। তুখোড় অভিনেত্রী। খুব মিষ্টি গানের গলা। ‘ত্রিনয়নী’, ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় মনে রাখার মতোই। তবু তিনি ফেসবুকে অহরহ কটূক্তি শোনেন গায়ের রং কালো বলে! শ্রুতি উদাহরণ মাত্র। একুশ শতকেও বিয়ের কনের গায়ের রং কালো হলে মুখ ভার শ্বশুরবাড়ির। একমাত্র ছেলের বৌ মানেই ফর্সা টুকটুকে। মেম বৌ হলে কথাই নেই। এই আহ্লাদেই হবু শাশুড়ির মাটিতে পা পড়তে চায় না। যদি উল্টোটা হয়? মানে, কৃষ্ণাঙ্গী কোনও বিদেশিনীকে যদি এক মাত্র ছেলের বিয়ের সাধ জাগে? কী ঘটে সেটিই দেখাতে চলেছেন পরিচালক সঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁর প্রথম সিরিজ ‘দুয়ারে বৌমা’-তে। দেখা যাবে উরি বাবা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর দাবি, ‘‘শ্রুতি দাসের মতো তথাকথিত কৃষ্ণকলিদের সামনে এসে বলার ক্ষমতা যদিও সেই সব দর্শক রাখেন না। তাঁদের যত আস্ফালন ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ।’’

সঞ্জয়ের আরও আফশোস, তাঁর বাড়িতেই এখনও বর্ণবৈষম্য বর্তমান! বৌ নির্বাচনের সময় সেই ভেদনীতি যেন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। যা একেক সময় তাঁর চোখেও বেঁধে। সেই জায়গা থেকেই পরিচালকের মনে হয়েছে, ‘‘একুশের পরে যেন এই ভাবনা আর না থাকে। এই শতকেই একে নির্মূল করতে হবে। সেই চিন্তা থেকেই এই ‘চেম্বার ড্রামা’ বানিয়েছি।’’ সিরিজে এক মাত্র ছেলে সাগ্নিক মেম বৌ আনছে। শুনেই আনন্দে আত্মহারা তার মা আরতি দেবী। কিন্তু বধূবরণের সময় তাঁর চোখ কপালে! কোথায় ফর্সা টুকটুকে মেম বৌ? তার জায়গায় ঘোর কৃষ্ণবর্ণা, ভারী চেহারার বিদেশিনী!

Advertisement

সিরিজের শেষে কার জয় হবে? রহস্য জিইয়ে রাখলেন পরিচালক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি মন থেকে চাইছি, নাইজেরিয় কন্যে এই রণে জিতুক। বাকিটা সিরিজ বলবে।’’ ছবিতে সাগ্নিকের ভূমিকায় দেখা যাবে রাজদীপ গুপ্তকে। পর্দায় তাঁর প্রেমিকা তন্বারাদজোয়া কুনগুমা। সঞ্জয়ের কথা অনুযায়ী, জিম্বাবোয়ে থেকে ভারতে পড়তে এসেছিলেন কুনগুমা। চোখে পড়তেই তাঁকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে নেন তিনি। আরতি দেবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুচন্দ্রা চৌধুরী। সাগ্নিকের কাছের বন্ধু সৌরভ পালোধি। এ ছাড়াও আছেন, বৃষ্টি রায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়। গানের দায়িত্বে সৌরভ সাহা। বর্ণবৈষম্য ছাড়াও বিয়ের আগে একত্রবাস বা সন্তানধারণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলিও জায়গা করে নিয়েছে রসিকতার ছলে। নামকরণ নিয়ে পরিচালকের দাবি, ‘দুয়ার’ শব্দটি বাঙালির অতি চেনা শব্দ। এতে রাজনীতির গন্ধ না খোঁজাই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement