নতুন ভাবে সেজে উঠলেন স্বস্তিকা এবং সোহিনী।
এ বারের দোলযাত্রা একটু ভিন্ন হতেই পারে। শিমূল, পলাশের উজ্জ্বল রং ফিরিয়ে আনতে পারে বাংলার প্রাচীন গৌড় সভ্যতাকে। সেই আমলের পোশাক, অলঙ্কার এই আমলে হারিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোই যদি এ বারের বসন্ত সাজ হয়ে ওঠে? তেমনই হতে চলেছে কারু আর্ট হাউজের প্রথম শিল্প উৎসব ‘গৌড়’ উৎসবে। সংস্থার পক্ষ থেকে দীপাঞ্জন পাল আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, বর্গীদের হাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পাল-সেন সভ্যতার ইতিহাস থেকে বিস্মৃত সবাই। ‘কারু’র নিবেদন সেই আমলের বাংলা। যা একাধারে নিজ গুণে উৎকৃষ্ট এবং উৎকর্ষে শ্রেষ্ঠ।
দক্ষিণ কলকাতার অলকা জালান ফাউন্ডেশনের দাগা নিকুঞ্জে ১১-১৩ মার্চ তিন দিন ধরে উৎসব চলবে। জায়গা করে নেবে গৌড় সভ্যতা-সংস্কৃতির গয়না, শিল্প, ভাস্কর্য। অভিষেক রায় সহ শহরের একাধিক প্রথম সারির বস্ত্র নির্মাণ শিল্পী এবং অলঙ্কার প্রস্তুতকারক অংশ নেবেন এই উৎসবে। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার সেজে উঠবেন সেই আমলের বিশেষ পরিচ্ছদ, অলঙ্কারে।
পুরনো শিল্পকে ফিরিয়ে আনার এই প্রয়াসে 'কারু' বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে মাটির সঙ্গে থাকা মানুষের হাতের কাজকে সামনে আনার। সেই প্রচেষ্টার কথা মাথায় রেখে 'কারু'-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছে 'অহনা' এবং 'আরজেকে' ফাউন্ডেশন। পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামের লুপ্ত প্রায় কারুলিল্পকে শহরবাসীর কাছে তুলে ধরছেন তাঁরা। শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিয়ে কাজ করতে উদ্যোগী 'অহনা'-কে সহায়তা করছে অ্যাম্প্লো গ্লোবাল ইঙ্ক সংস্থা।
পুরনো শিল্পকে ফিরিয়ে আনার এই প্রয়াসে 'কারু' বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে মাটির সঙ্গে থাকা মানুষের হাতের কাজকে সামনে আনার।
উৎসব সম্বন্ধে দীপাঞ্জন আরও বলেছেন, ‘‘আর্ট হাউজ ‘কারু’ মূলত ওড়িয়া স্কুল অফ আর্ট এবং বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট নিয়ে কাজ করে। এই প্রথম তারা এক টুকরো আসল সোনার বাংলা তুলে ধরতে চলেছে।’’ ফলে প্রদর্শনীতে সেই সময়ের শিল্প, বঙ্গ-কলিঙ্গ সম্বন্ধে আলোচনারও আয়োজন করা হয়েছে। ওড়িশি নৃত্য থেকে পদাবলীর ইতিহাস সামনে যেমন আসবে তেমনি গৌড় সভ্যতা সম্বন্ধে বলবেন, ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের একাধিক প্রত্নতত্ত্ববিদ। থাকবেন পার্বতী বাউল, শর্মিলা বিশ্বাস, মহুয়া মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।