জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ -ফাইল চিত্র
২০০ কোটি টাকা তছরুপ-কাণ্ডে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ বাড়ানো হল। দিল্লির পটীয়লা হাউস আদালত সূত্রে শনিবার জানানো হয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সুরক্ষা পাবেন অভিনেত্রী। আদালতের নির্দেশে এর মধ্যে নতুন চার্জশিট এবং আনুষঙ্গিক নথি সব পক্ষের আইনজীবীদের কাছে পেশ করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। অগস্ট মাসে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তছরুপ মামলায় নাম জড়ানোর পর ইডি তলব করেছিল তাঁকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেককেই থানায় হাজিরা দিতে ডেকেছিল দিল্লির আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। সেখানে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে ইডি। তার মধ্যেই ৩৭ বছর বয়সি জ্যাকলিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়।
ইডি যখন জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, তখন অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ইডির তদন্ত পদ্ধতি ‘বেঠিক’ এবং ‘অন্যের মদতপুষ্ট’ বলে পাল্টা অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য দিল্লির একটি আদালতে আপিল করেছিলেন তিনি। সেই জামিন মঞ্জুর হয় শেষমেশ।
যদিও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জ্যাকলিনের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় তদন্তে নেমে এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ‘কনম্যান’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন বি-টাউনের এই মোহময়ী নায়িকা।
আর্থিক তছরুপ মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাকলিন। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার স্পেশাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন যে, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভেবেছিলেন বলে তদন্তকারীদের দাবি।
যদিও বর্তমানে বিতর্ক সরিয়ে ফের কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জ্যাকলিন। আদিত্য দত্ত পরিচালিত ‘এক্সট্রিম স্পোর্টস অ্যাকশন’ ছবি ‘ক্র্যাক’-এ অর্জুন রামপালের বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।